ঢাকা ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২০
ইন্দুরকানীতে যুবলীগের কর্মী সভায় ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার মোয়াজ্জেম হোসেনের সমালোচনা করায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার মজুমদারকে (৫১) পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। বুধবার রাতে উপজেলার চরণী পত্তাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
রঞ্জন কুমার মজুমদারকে আহত অবস্থায় বুধবার রাতে খুলনার সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে উপজেলার চরনী পত্তাশী পাড়ের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পত্তাশী ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন পত্তাশী ইউনিয়ানের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার মজুমদার। তার বক্তব্যে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেমের সমালোচনা করেন। এ সময় মোয়াজ্জেম ও তার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাদের অবস্থা দেখে আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জন সভাস্থল ত্যাগ করেন। সভাস্থল থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী উঠে গিয়ে রঞ্জনকে মোয়াজ্জেম চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। এরপর দিপ্ত, দিবস হালদার ও তুষারসহ স্থানীয় কয়েক নেতাকর্মী রঞ্জনকে সভাপস্থলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পথিমধ্যে মোয়াজ্জেমের উপস্থিতিতে লাঠি দিয়ে বেধরক পেটায়। এতে তার বাম পা ভেঙে যায়। এ সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান খান এগিয়ে গেলে তাকেও লাঞ্চিত করে চেয়ারম্যানের সহযোগীরা। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রঞ্জনকে উদ্ধার করেন। এরপর চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে রঞ্জনকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান।
স্বজনরা জানান, রঞ্জনকে কোনো সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে দেওয়া হয়নি। রঞ্জন কুমার মজুমদার সাংবাকিদের বলেন, ‘মোয়াজ্জেম ভুল করতে পারেন’ বক্তব্যে এ কথা বলায় আমাকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে তার লোকেরা। আমি ভেবেছিলাম বাঁচতেই পারব না। আমার হাঁটুর বাটি ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গেছে। আমি মনে হয় পঙ্গু হয়ে যাব। আমি আর রাজনীতি করব না।’
পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রাতে যুবলীগের কর্মী সভার একটু দূরে কে বা কারা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা করেছে। তবে তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। সে তো আমার লোক। আমি কেন আমার লোকের ওপরে হামলা করব?
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, লোকমুখে ঘটনাটি জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network