ঢাকা ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
বরিশাল শহরের সিঅ্যান্ডবি রোডের ‘সেইভ দ্যা লাইফ কেয়ার’ নামের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সোহেল ওরফে শাহীন নামের ত্রিশোর্ধ্ব যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্বজনেরা। এবং এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধরদের একজন মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের মালিকানাধীন ‘গোলাপাতা’ রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বুধবার সন্ধ্যা রাতের এই ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে আটক করেনি।
যুবক শাহীনের স্বজনেরা জানায়, তাদের সন্তান মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার কারণে গত ১৩ জানুয়ারি তাকে ‘সেইভ দ্যা লাইভ’ নামক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করনো হয়। তাদের অভিযোগ, ভর্তির প্রথম দিনে শাহীনকে হাতকড়া পরিয়ে এবং লোহার খাটে রেখে নির্যাতন শুরু হয়। এবং খাবারেও তাকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি জানতে পেরে স্বজনেরা বুধবার সন্ধ্যা রাতে তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু বাসায় ফেরার পরে শাহীন আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ‘সেইভ দ্যা লাইফ কেয়ার’ এবং একই মালিকের রোস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এই হামলায় অন্তত ২০ থেকে ৩০ যুবক অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
এই ঘটনায় শাহীনের স্ত্রী মরিয়ম জেবু কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি নিলেও প্রতিষ্ঠান মালিক শাখায়াত হোসেন মিঠু মাদকাসক্ত শাহীনকে কোনরুপ নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই ব্যক্তির দাবি, ১৩ জানুয়ারি ভর্তির পর থেকে শাহীনকে কোনো রকমের নির্যাতন করা হয়নি। বুধবার সন্ধ্যার পর স্বজনেরা এসে তাকে বাসায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই শাহীনসহ অন্তত ২০ থেকে ৩০ যুবক একত্রিত হয়ে আকস্মিক দুটি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে অন্তত ৪/৫ কর্মী আহত হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম যায়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহীনের স্ত্রী মরিয়ম জেবু জানান, তার স্বামীকে নির্যাতনের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশে একটি মামলা প্রস্তুতি নিয়েছেন। এবং তিনি বর্তমানে থানায় অবস্থান করছেন।
কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিম রেজা জানান, ‘সেইভ দ্যা লাইফ কেয়ার’ প্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্ত যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে স্বজনেরা দুটি প্রতিষ্ঠানে হামলা করে এমন খবর ছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত তদন্ত না করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network