টান টান উত্তেজনার ম্যাচে সাকিবদের রোমাঞ্চকর জয়

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২২

টান টান উত্তেজনার ম্যাচে সাকিবদের রোমাঞ্চকর জয়

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণটা ৪ বলে ১৬ রানে নামিয়ে আনেন সেকুগে প্রসন্ন। পরে ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান শেখ মেহেদি হাসান। তবু ম্যাচ জিততে পারেনি খুলনা টাইগার্স। মাঝের তিন বলে মাত্র তিন রান খরচ করে ফরচুন বরিশালের ৬ রানের জয় নিশ্চিত করেন ডোয়াইন ব্রাভো।

টস জিতে আগে ব্যাট করা বরিশাল অলআউট হওয়ার আগে করেছিল ১৪৫ রান। চট্টগ্রামের উইকেট বিবেচনায় রানটি খুব বেশি ছিল না। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও মুজিব উর রহমানের কিপটে বোলিংয়ের মুখে পুরো ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা। তাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচে দুইটিতেই জিতলো বরিশাল।

এ জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচ তিন জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে সাকিবের দল। সমান ম্যাচে খুলনার এটি তৃতীয় পরাজয়। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান পঞ্চম। প্রথম দুইটি স্থানে রয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।বরিশালের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন দুই ক্যারিবিয়ান সুপারস্টার ক্রিস গেইল আর ডোয়েন ব্র্যাভো। মেহেদি হাসানের করা প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান নিতে পেরেছন ক্রিস গেইল! পরের ওভারে খালেদ আহমেদকে পরপর দুই বাউন্ডারি মেরে মুশফিকের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন ব্র্যাভো (৯)। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এসে এই পেসার তুলে নেন আরেক মহাতারকা ক্রিস গেইলকে। খালেদের গুড লেন্থের বলটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ৯ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৪ রান করা ক্যারিবিয়ান দানব।
তৌহিদ হৃদয়ও রান-আউট হয়ে যান। ২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক সাকিব আর নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। শান্তর রান শুরুতে বলের চেয়ে কম ছিল, এরপর ধীরে ধীরে তিনি উল্টোদিকে বাড়াতে শুরু করেন। দুজনের জুটি দারুণ জমে যায়।
এমন সময় আক্রমণে আসেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তার বলে ইয়াসির আলীর তালুবন্দি হয়ে ফিরেন ২৭ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৪১ রান করা সাকিব। অবসান হয় ৫৯ বলে ৭৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটির। ১৬তম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান থিসারা পেরেরা।লঙ্কান অল-রাউন্ডারের বলে ইয়াসিরের তালুবন্দি হয়ে থামে শান্তর ৪০ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৪৫ রানের ইনিংস। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বরিশাল। তারা অল-আউট হয় ১৪৫ রানে। নুরুল হাসান (৯ বলে ১০) আর মুজিব উর রহমান (৬ বলে ১২) ছাড়া কেউ দুই অংক ছুঁতে পারেননি। ৪ ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন খালেদ। ২টি করে নেন ফরহাদ রেজা এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি।
১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে খুলনার হয়ে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যান ইয়াসির আলী। তিনি ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও নিজের সেরাটা দেওয়া চেষ্টা করেন। তবে শফিকুল ইসলামের বলে বিদায় নেন। তিনি ২২ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন। মেহেদি হাসান শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুধু ব্যবধানই কমান।

বরিশালের বোলার ডোয়েন ব্রাভো সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ১০ রানে ২টি উইকেট দখল করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন