ঢাকা ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
ভুয়া ডিক্রি ও জাল দলিলের মাধ্যমে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারের জমি আত্মাসাৎ করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ভাইবোনসহ কারাগারে গেলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। বুধবার সকালে বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মহিবুল হাসান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ অপর ৪ আসামি বুধবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করেন।
কারাগারে যাওয়া অন্যরা হচ্ছেন- চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হাওলাদারের ভাই আব্দুর রশিদ হাওলাদার, আবুল হোসেন হাওলাদার, তৌহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও বোন কোহিনুর বেগম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দাড়িয়াল এলাকার নরেন্দ্র নাথ পাল তার পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে ৬ একর ২ শতাংশ জমির মালিক। চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হাওলাদার নিলাম ডিক্রি সূত্রে মালিকানা দাবি করে ২০১৬ সালে ওই জমি দখলের চেষ্টা চালান। পরে খোঁজ নিয়ে নরেন্দ্র নাথ পাল জানতে পারেন, ২০১৫ সালে ৩ একর ৫৩ শতাংশ জমির জাল নিলাম ডিক্রি তৈরি করা হয়েছে। অবশিষ্ট জমি আত্মসাৎ করার জন্য নরেন্দ্র নাথ পালের ফুফু জয়া ও গীতা এবং হোসেনের নাম ব্যবহার করে সাতক্ষিরার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সম্পন্ন দেখিয়ে একটি জাল সাব কবলা দলিল সৃষ্টি করা হয়। ২০১৬ সালে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওই জমি স্থানীয় ভূমি অফিসে রেকর্ড সংশোধনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালে শহীদুল ইসলামসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নরেন্দ্র নাথ পাল। সিআইডির পরিদর্শক মো. সেলিমা মিয়া অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতিবেদন পাওয়ার পর শহীদুল ইসলামসহ অভিযুক্ত অপর ৯ জনের বিরুদ্ধে হাজির হওয়ার জন্য আদালত সমন দিয়েছিল। তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন আদালত। সমকাল থেকে
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network