ঢাকা ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৩৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,২৫ফেব্রুয়ারি।। পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার সৈকত। করোনার বিধি নিষেধ তুলে নেয়ার পর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হাজারো পর্যটকের ভীড় জমেছে। বালিয়াড়ীতে অনেকে নেচে গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। আবার অনেকেই সমুদ্রের নোনা জালে গাঁ ভাসিয়ে উপভোগ করছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে গঙ্গামতি, ঝাউবাগান, শুটকি পল্লী, ফিস ফ্রাই মার্কেট, বৌদ্ধ বিহার ও ইলিশ পার্কেও পর্যটকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো। এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। বেশিরভাগই পিকনিক পার্টি রয়েছে। এরফলে প্রানচাঞ্চ্যলতা ফিরে এসেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। তবে বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। করোন পরিস্থিতির করানে দীর্ঘদিন এসব মানুষ ঘর বন্দী ছিলো বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা।
পর্যটক সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দুইটি বছর ঘর কোনা হয়ে গেছি। এখন করোনার বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ায় হয়েছে। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে। বাচ্চারা বেশ মজা পাচ্ছে। এছাড়া তারা উপভোগ করছেন সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। অপর এক পর্যটক মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিনের পরিকল্পনা ছিল,বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় আসব। তাই আমাদের ২৫ জনের একটি টিম নিয়ে এসেছি। বেশ স্বাচ্ছন্দে আনন্দ উল্লাস করছি।
হোটেল সমুদ্র বাড়ির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম রয়েছে। তাদের হোটেলের একটি রুমও খালি নই। এ আবস্থা আরো দুই দিন থাকতে পারে।
কুয়াকাটা ইলিশ পার্ক ইকো রিসোর্ট’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমান ইমতিয়াস তুষার বলেন, করোনার বিধি নিষেধ না থাকায় পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। তাদের রিসোর্ট’র পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
ট্যুর অপারেটর এ্যাসোশিয়েশনের টোয়াক’র সাধারন সম্পাদক কেএম জহির বলেন, বিগত দিনগুলোর তুলনায় এখন পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা বেশি। অধিকাংশ হোটেলই বুকিং রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে হোটেল ব্যবসায়ীরা করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিষ্ট পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া দর্শনীয় স্পট গুলেতে তাদের পুলিশ টহলে রয়েছে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network