রমজানে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম না করার শপথ বরিশালের ডিলারদের

প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২

রমজানে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম না করার শপথ বরিশালের ডিলারদের

আসন্ন রমজানে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে কোনো রকমের অনিয়ম না করার শপথ নিচ্ছেন ডিলাররা। সার্কিট হাউস মিলনায়তন, বরিশাল, ২৭ ফেব্রুয়ারি
আসন্ন রমজানে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে কোনো রকমের অনিয়ম না করার শপথ নিচ্ছেন ডিলাররা। সার্কিট হাউস মিলনায়তন, বরিশাল, ২৭ ফেব্রুয়ারিছবি: প্রথম আলো

আসন্ন রমজান মাসে বরিশালে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট ডিলারদের হুঁশিয়ার করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় টিসিবির নিয়োজিত ডিলাররা কোনো ধরনের অনিয়ম যাতে না করেন, সে জন্য তাঁদের শপথ পড়ান জেলা প্রশাসক। ডিলাররা হাত তুলে পণ্য বিক্রিতে কোনো কারচুপি, অনিয়ম করবেন না বলেও শপথ নেন।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল জেলা প্রশাসন নগরের সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন রমজান উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে কর্মপরিকল্পনা ও কৌশল বাস্তবায়নসংক্রান্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে এই শপথ পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস। উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরিশাল মো. তাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (এনডিসি) বরিশাল মো. নাজমূল হুদা, টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান বরিশাল মো. আল আমীন হাওলাদার, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল জেলার সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া। সভায় জেলার টিসিবির ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, ‘সরকার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবে টিসিবির মাধ্যমে অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিত্যপণ্য ভর্তুকি দিয়ে মানুষের মধ্যে সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে বাজারে পণ্যমূল্যে যেমন ভারসাম্য তৈরি হয়, তেমনি সাধারণ মানুষের দুর্দশা লাঘব হয়। কিন্তু ভর্তুকির সেই পণ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রি না করে কালোবাজারে বিক্রি করা জঘন্য অন্যায়। আমরা সম্প্রতি এমন একজন ডিলারকে হাতেনাতে ধরেছি। তাঁর কাছ থেকে মজুত করা পণ্য গুদাম থেকে উদ্ধার করে আবার ট্রাকে করে বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। ওই ডিলারকে ২০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রতিবছরই সরকার রমজানকে সামনে রেখে পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় এমনকি টিসিবির সরবরাহ দ্বিগুণ করে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও পণ্যের মূল্য বাড়ানোর প্রতিযোগিতা থাকে। এবার সেটা করতে দেওয়া হবে না। আমরা সম্মিলিতভাবে সেটা প্রতিহত করব। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থায় প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকবেন। পাশাপাশি টিসিবির পণ্য যাতে সুলভে ক্রেতারা পান, সে ব্যবস্থার মনিটরিং করা হবে।’ যদি কেউ অনিয়ম করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সভায় রমজান উপলক্ষে টিসিবির কর্মপরিকল্পনা ও কৌশল বাস্তবায়নসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন অতিথিরা। এতে নগরে ও জেলায় ভ্রাম্যমাণ কতগুলো ট্রাকসেল থাকবে, কী কী পণ্য বিক্রি হবে এবং প্রতিদিন তা কী পরিমাণ সরবরাহ করা হবে, সেসব বিষয়ে বিশদ আলোচনা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন