দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে নেওয়া হচ্ছে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প’

প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২২

দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে নেওয়া হচ্ছে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প’

বাংলাদেশের মোট মুগডাল উৎপাদনের শতকরা ১০ ভাগ হচ্ছে পটুয়াখালীতে। এখানের উৎপাদিত ডাল দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জাপানে রফতানি হচ্ছে। এর উৎপাদন আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে। এ অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। সোমবার (৯ মে) দুপুরে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুরে মুগডালের মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালীতে আগে কৃষকেরা শুধু ধান চাষ করতো। শুকনো মৌসুমে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় এখানে অন্য কোনও ফসলের চাষ করা যেতো না। কৃষি মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলে ডাল চাষের উদ্যোগ নেয়। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি মুগ-৬ চাষ করে এখানকার কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এতে আমরা এলাকাভিত্তিক ফসল বিন্যাসের চেষ্টা করছি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালীর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু এখানে পানি সংকট। খালগুলো ভরে গেছে, সেচের ব্যবস্থা নেই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইস গেটগুলো কাজ করে না। তাই দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এই এলাকার কৃষিতে একটি বিপ্লব নিয়ে আসা হবে, যাতে দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কোনও জমি যাতে আর অনাবাদি না থাকে সেজন্য কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে আবহাওয়া সহিষ্ণু বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন করছে। এসব ফসল উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের সার, উন্নতমানের বীজ ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এসব সহায় নিয়ে সমতল ভূমির অনেক এলাকায় চাষিরা সারা বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন করছেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় এমপি কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচাক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচাক ড. দেবাশিষ সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নানসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কালিকাপুর ইউনিয়নের শারিকখালীতে বোরো প্রদর্শনীর নমুনা ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসে অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী।

সংবাদটি শেয়ার করুন