রাজাপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৫

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২২

রাজাপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৫

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় একই স্থানে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বাঘড়ি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন, বিএনপির নেতা-কর্মীসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ লাঠিপেটা করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিএনপির আহত নেতা-কর্মীরা হলেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নাসিম আকন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদ আল মামুন ও গালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান লাভলু। আওয়ামী লীগের দাবি, তাঁদের কিছু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে রাজাপুর বাইপাস মোড়ে উপজেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে সম্মেলনের আয়োজন করে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন বাইপাস সড়কের পাশে একই সময়ে সমাবেশের ডাক দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষ অবস্থান নিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে।

বিএনপি অনুষ্ঠান সরিয়ে বাঘড়ি বাজার এলাকায় নিয়ে যায়। দুপুরে বাঘড়ি বাজার এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন। বিএনপিও স্লোগান দিলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেলের আঘাতে এসআই মামুন, বিএনপির নেতা-কর্মীসহ চারজন আহত হন। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
একই জায়গায় উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে
একই জায়গায় উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেছবি: প্রথম আলো

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ সম্মেলন পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ একই জায়গায় পরিকল্পিতভাবে সমাবেশ ডাকে। তাঁদের হামলায় আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা বাধ্য হয়ে সাঙ্গর এলাকায় সম্মেলন করেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান বলেন, তাঁদের সমাবেশ চলাকালে বিএনপি উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। তাঁদের নেতা-কর্মীরা বেশ সংযত ছিলেন। এ ঘটনায় তাঁদের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। এ নিয়ে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ বিকেল ৫টার দিকে সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা শাজাহান ওমরের বাড়ির সামনে সাঙ্গর এলাকায় সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান ওরফে শিরিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন, সদস্যসচিব শাহাদাৎ হোসেন, সদস্য মিজানুর রহমান, রাজাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ঝালকাঠি শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন