মুশফিককে টপকে আইসিসির মাসসেরা ম্যাথুস

প্রকাশিত: ৫:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২২

মুশফিককে টপকে আইসিসির মাসসেরা ম্যাথুস

২০২১ সালের মে মাসেও এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন, পরে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর মুশফিকুর রহিমের ভাগে জোটেনি আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। গত মে মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।

পুরস্কারের দৌড়ে মুশফিক আর ম্যাথুস ছাড়াও সেরা তিন মনোনীত খেলোয়াড়ের তালিকায় ছিলেন আরেক শ্রীলঙ্কান—আসিথা ফার্নান্দো। গত মাসে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার সিরিজ ছিল কি না! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সে সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০৩ রান করেছিলেন মুশফিক। চট্টগ্রামের পর শতক পেয়েছিলেন মিরপুরেও। এতে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরেও উঠে আসেন।
ম্যাথুসের ব্যাট থেকে, দুটি শতক দেখেছে তাঁর ব্যাটও। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে তো ১ রানের জন্য দ্বিশতক পাননি! আউট হয়েছেন ১৯৯ রানে। এরপর মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৪৫ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস এসেছে ম্যাথুসের ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কা ম্যাচটা ১০ উইকেটে জিতে যাওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাটই করতে হয়নি ম্যাথুসকে।

সিরিজটি জিতে শ্রীলঙ্কা আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে উঠে এসেছে, তাদের জয়ের হার ৫৫.৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ১৬.৬৭ শতাংশ জয়ের হার নিয়ে ৯ দলের পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে। এ তো গেল দলের উন্নতি, সিরিজে ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্সে আইসিসির টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি হয়েছে ম্যাথুসেরও। সিরিজ শেষে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৫ নম্বরে উঠে এসেছিলেন। এখন জিতলেন মে মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

একটা দিক থেকে অবশ্য ম্যাথুস অনন্যই! ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আইসিসি প্রতি মাসের সেরা খেলোয়াড়ের এই পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ৩৫ বছর বয়সী ম্যাথুসই পুরস্কারটা জেতা প্রথম খেলোয়াড়।

পুরস্কার জিতে প্রথমে অবশ্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কথাই স্মরণ করেছেন ম্যাথুস, ‘আইসিসির মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে আমি দারুণ সম্মানিত বোধ করছি, আনন্দ লাগছে। আসিথা ফার্নান্দো ও মুশফিকুর রহিমকেও অভিনন্দন জানাতে চাই। অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে ওরাও এই পুরস্কারের দৌড়ে ভালোভাবে ছিল।’

সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক পুরস্কারটা উৎসর্গ করেছেন এই মুহূর্তে আর্থিক-রাজনৈতিক দিক থেকে ভয়াবহ দুঃসময় পার করতে থাকা শ্রীলঙ্কার মানুষের জন্য। অন্ধকার কেটে গিয়ে আলোর আশাও থাকল তাঁর বার্তায়, ‘এই সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার সতীর্থদের, দলের সহযোগী সদস্যদের এবং ভক্তদেরও আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য, সব সময়ের মতো সমর্থন জানিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এই পুরস্কারটা শ্রীলঙ্কার মানুষকে উৎসর্গ করতে চাই। আমরা যেন কখনোই বিশ্বাস না হারাই।’

সংবাদটি শেয়ার করুন