দুই মাস যাবৎ বিদ্যুৎবিহীন দৌলতখানের একটি ইউনিয়ন

প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২২

দুই মাস যাবৎ বিদ্যুৎবিহীন দৌলতখানের একটি ইউনিয়ন

ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে দীর্ঘ দুই মাস ধরে বিদ্যুৎ নেই। এতে মদনপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বিদ্যুতের ৫ শতাধিক গ্রাহকরা তীব্র গমর ও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মেঘনা নদীর মধ্য দিয়ে নেওয়া সাবমেরিন কেবেলে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিদ্যুৎ–বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, জুন-জুলাই দুই মাস উপজেলার মদনপুর চরে বিদ্যুৎ নেই। এ ছাড়া বাতাস বা বৃষ্টি হলে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এ চরে। টানা দুই মাস বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় তীব্র গরমে গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে। এ জন্য অতিষ্ঠ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।

উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের বিদ্যুৎ গ্রাহক ভুট্টু বলেন, ‘২০২১ সালের শেষের দিকে ঘরে বিদ্যুৎ আনি। হালকা বাতাসেই এখানে বিদ্যুৎ থাকে না। এ বছর তীব্র গরমটা বিদ্যুৎ ছাড়াই কাটছে। বর্তমানে টানা দুইমাস এখানে বিদ্যুৎ নেই। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।’

ভুট্টুর মতো একই অভিযোগ এ ইউনিয়নের শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহকের। এ চরে আসা বিদ্যুতকে ঘিরে এখানকার বাসিন্দারা কেউ কেউ স্থানীয় বাজারে গার্মেন্টসের দোকান, ফটোকপি-কম্পিউটারের দোকান, বৈদ্যুতিক সেচপাম্প বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বর্তমানে টানা দুই মাস বিদ্যুৎ না থাকায় এসব স্বপ্ন বর্তমানে ভেঙে যাওয়ার পথে।

উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মো. নান্নু বলেন, গত বছরের নভেম্বরে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে এ চরে বিদ্যুৎ আসে। পরে এ চরের ৫ শতাধিক বাসিন্দারা ঘরে বিদ্যুৎ নেয়। এরপর হালকা বাতাসেই শুরু হয় ঘনঘন লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে যায় গ্রহকরা। এখন টানা দুই মাস এ চরে বিদ্যুৎ নেই। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেননি। ফলে চরের অনেক উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক উদ্যোগও নষ্ট হয়ে গেছে।

ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, মেঘনা নদীর মধ্যে থেকে সাবমেরিন ক্যাবল তুলে পরীক্ষা করলে বোঝা যেত কী সমস্যা। নদীর মধ্যে থেকে এ ক্যাবল তোলা সম্ভব না। মেঘনার গভীরতা ১২০-১৩০ ফুট। ক্যাবল তোলার জন্য সারা দেশের সেরা ডুবুরিদের নিয়ে আসা হয়েছিল। তারা এসে বলেছেন, এটা তোলা অসম্ভব। তবে কবে এ সমস্যার সমাধান হবে তা বলতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন