‘৬ দিন ধরে পানিতে ভাসছি, চুলাও জ্বলছে না’

প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২২

‘৬ দিন ধরে পানিতে ভাসছি, চুলাও জ্বলছে না’

‘ছয় দিন ধরে পানিতে ভাসছি। ঘরে চুলাও জ্বলছে না।
ঘরে রান্না করার মতন কিছুই নেই। আত্মীয়দের কাছ থেকে খাবার এনে কোনো মতে খাচ্ছি। আমাদের দুর্ভোগও কেউ দেখে না’।

এভাবে আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন বন্যাকবলিত এলাকার আমিনা বেগম। জোয়ারের পানিতে তার ঘর তলিয়ে গেছে। ছয় দিন ধরে পানিবন্দী এ পরিবারটি।

শুধু আমিনা বেগমই নয়, একই অবস্থা সালমা, রুমা ও জরিনা খাতুনের। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়ন। এতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

রোববার (১৪ আগস্ট) মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এটি এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। শনিবার যা ছিল ৯১ সেন্টিমিটার। লঘু চাপের প্রভাব এবং পূর্ণিমার কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। রাজাপুর ইউনিয়ন দুই নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা নবী মাঝি ও মাসুমা বিবি জানান, আমরা ছয় দিন ধরে পানিতে ভাসছি, কেউ আমাদের খোঁজ-খবর নেয়নি। জোয়ারের পানিতে আমার সব ভাসাইয়া নিয়া গেছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে মেদুয়া, কন্দকপুর, দাইয়া, শ্যামপুর, চর মোজাম্মদ আলী, সোনাপুর, বাহাদুর পুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। সীমাহীন কষ্টে আছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, টানা ছয় দিনের জোয়ারের পানিতে রাচাপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত। পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় অনেকে আর্থিকভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন।

পিন্টু জমাদার বলেন, জোয়ারের আমার দুটি ঘর তলিয়ে গেছে। আমার প্রায় ছয় লাখ টাকার তেলাপিয়া, পাঙ্গাস ও চিংড়ি ভেসে গোছে। ভোলা সদর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুজাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জোয়ারে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির মাধ্যমে সহায়তা করার চিন্তা করছি। বাংলা নিউজ

সংবাদটি শেয়ার করুন