ঢাকা ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২২
সদ্য বাংলাদেশ সফরকারী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেটের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী জাতিসংঘের দৃষ্টিতে মানবাধিকার বা অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন উদ্বেগ প্রকাশিত হয়নি। যেসব দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার ও মানবিক অধিকার নিয়ে সমস্যা ও উদ্বেগ রয়েছে সেটি জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের প্রধান মিশেলের রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নেই।
আগামী ৩১ আগস্ট মিশেলের জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের প্রধান হিসেবে চার বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে। এ উপলক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ২৫ আগস্ট প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এ রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
রিপোর্টে গুম-খুনের মতো বিশেষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেসব দেশে বিরাজমান, সে বিষয়টিও উল্লেখিত হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম আসেনি। মিশেলের রিপোর্টে বরং রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক মানবাধিকারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে প্রকান্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব ক্ষেত্রে নানা যুগান্তকারী অর্জনকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার টিমের বাংলাদেশ সফরকালে সরকার এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মানবাধিকার বিষয়ে যে সব তথ্য উপাত্ত দেওয়া হয়েছিল সেগুলো তারা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়েছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এ রিপোর্টে সেটিই প্রতিফলিত হয়েছে।
তার এ রিপোর্টে মূলত জাতিসংঘের দৃষ্টিতে গেলো চার বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির একটা মূল্যায়ন ফুঁটে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশসহ যেসব দেশে মিশেল সফর করেছেন তার একটা তালিকা উল্লেখ করেছেন। দেশ গুলো হলো বার্কিনা ফাসো, নাইজার, আফগানিস্তান, চীন, বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভিনা, পেরু এবং বাংলাদেশ।
মিশেল উল্লেখ করেন, তার এ মেয়াদকালে পৃথিবীর মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে। বৈশ্বিক কোভিড মহামারীর অপরিসীম নেতিবাচক প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর দেশে দেশে তীব্র খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সংকট এ তিনটিই হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের প্রধান তিন ইস্যু।
তার রিপোর্টে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মৃত্যুদণ্ড প্রথা বাতিল করার ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ, অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতার তথ্য উঠে আসে। কোন কোন দেশে কী কী অগ্রগতি হয়েছে, সেকথাও এসেছে এ রিপোর্টে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network