ঢাকা ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
নিজেকে মৃত দেখাতে চান এক তরুণী। আর এ কারণে ভয়ংকর এক পরিকল্পনা করেন তিনি। ভুয়া মৃত্যুর খবর রটাতে হত্যা করেন তার মতোই দেখতে আরেক নারীকে। হত্যার আগে ইনস্টাগ্রামে খুঁজে বেড়িয়েছেন ঠিক তার মতো দেখতে অন্য নারীদের। শিকার হাতে পেতেই পেতেছেন নানা ফাঁদ। সেই ফাঁদেই পা দিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন নির্দোষ এক নারী। শাহরাবান কে নামের ২৩ বছরের এক জার্মান তরুণীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে।
নৃশংস এবং উদ্ভট এই হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে ‘ডপেলগ্যাঙ্গার মার্ডার’। পুলিশ জার্মান ওই নারীকে ‘শাহরাবান কে’ নামে উল্লেখ করেছে। শাহরাবান একজন জার্মান-ইরাকি নারী। তিনি নানা রকম প্রসাধনী নিয়ে ব্লগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, শাহরাবান প্রথমে একটি ভুয়া ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। এরপর তার মতো দেখতে নারীদের খুঁজতে শুরু করেন। পেয়েও যান একজনকে। তিনিও পেশায় একজন প্রসাধনী ব্লগার। নাম খাদিদজা (২৩)। শাহরাবান তার পরিকল্প অনুযায়ী খাদিজাকে হত্যা করে তার মরদেহ গাড়িতে রেখে দেন। এই হত্যায় শাহরাবানের বন্ধু ‘শেকির কে’ তার সহযোগী ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানায়, শাহরাবান এবং শেকির হত্যাকাণ্ডের শিকার খাদিজার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাকে কিছু প্রসাধনী দেখানোর প্রস্তাব দেন। সেই উদ্দেশ্যেই খাদিজাকে তারা আনতে যান। ফেরার পথে একটি জঙ্গলে গাড়ি থামান। আর সেখানেই খাদিজাকে ৫০ বারের বেশি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারা। আগস্টের ১৬ তারিখ এ ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে, শাহরাবান বলেছিলেন, তিনি তার প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি ফিরে না এলে তার বাবা-মা মিউনিখ থেকে ইঙ্গোলস্ট্যাডে তাকে খুঁজতে যান। সেখানেই তারা ওই মার্সিডিজ গাড়িটি খুঁজে পান। গাড়িটির পেছনের সিটে কালো চুলের নারীর লাশ পাওয়া যায় এবং তাদের বিশ্বাস, এটি তাদের মেয়েরই লাশ। গাড়িটির আশপাশ থেকে কয়েকটি ছুরি পাওয়া যায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে লাশটি শারাবানের বলেই চিহ্নিত করেছিলেন তদন্তকারীরা। কারণ তার চেহারার সঙ্গে মিউনিখের ২৩ বছরের জার্মান-ইরাকি তরুণীর হুবহু মিল রয়েছে।
কিন্তু পরে পুরো ঘটনা জানতে পেরে চমকে ওঠে পুলিশ। কারণ, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যায়, লাশটি আসলে খাদিজার। সব ঘটনা পুলিশের সামনে চলে আসে। শাহরাবান এবং তার বন্ধু শেখিরকে তখন গ্রেপ্তার করা হয়। মৃত ওই নারীর সঙ্গে শাহরাবানের এতো মিল দেখে অবাক হয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু কর্তৃপক্ষ হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network