ববিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ ॥ আহত ৫

প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩

ববিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ ॥ আহত ৫

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছে । রোববার গভীর রাতে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহতরা হচ্ছে রুমান হোসেন, তাহমিদ জামান, মাহমুদুল হাসান, আবিদ হোসেন ও আতাউর রাফি । দুই পক্ষই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা মহিউদ্দিন আহমেদের অনুসারী। এর প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে একটি পক্ষ। ক্যাম্পাসে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েকদিন আগে বিশ^ বিদ্যালয়ের বাইরে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ও ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আল সামাদের সাথে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ জামানের । এরই জের ধরে রোববার রাত ১১টার দিকে মাহামুদুল হাসান ও সামাদ একদল বহিরাগত নিয়ে মরিফুল ও তাহমিদের উপর হামলা চালায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়। এই ঘটনার জেরে গভীর রাত পর্যন্ত উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় আহত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ জামান বলেন, দুই দিন আগে বরিশাল নগরের রূপাতলী এলাকায় তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে একটি ঝামেলা হয়। তাঁরা ওই ঘটনা সমাধান করেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে বহিরাগত কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। এদিকে এই হামলার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে একটি পক্ষ। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, মাহমুদুল হাসান ও আল সামাদ পক্ষটির ইন্ধনে গতকাল রাতে বহিরাগত ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ওই পক্ষ ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্টের জন্য এসব অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসব অপশক্তি প্রতিহত করা হবে।
এ সময় বক্তব্য দেন তাহমিদ জামান, রাজু মোল্লা, আতাউর রাফি, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যম্পাসের বিভিন্ন সড়ক এবং সামনের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘ঘটনা জানার পরই আমি ক্যাম্পাসে এসে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি। দুই পক্ষকেই শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। এরপরও পরিস্থিতি উত্তপ্ত করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন