লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে আফগানরা

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০২৩

লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে আফগানরা

একশর আগে ৪ উইকেট হারানো দলের হাল ধরলেন চারিথ আসালাঙ্কা। দারুণ ব্যাটিংয়ে সম্ভাবনা জাগিয়েও অল্পের জন্য পারলেন না সেঞ্চুরির উষ্ণ ছোঁয়া নিতে। শ্রীলঙ্কার আড়াইশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় শতকের আরও কাছে গিয়ে আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন ইব্রাহিম জাদরানও। তবে তার চমৎকার ইনিংসের সৌজন্যে দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল আফগানিস্তান।

হাম্বানতোতায় প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের জয় ৬ উইকেটে। শ্রীলঙ্কাকে ২৬৮ রানে আটকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা ১৯ বল বাকি থাকতে।

স্বাগতিকদের লড়ার মতো পুঁজি এনে দেওয়ার পথে ১২ চারে ৯১ রান করেন আসালাঙ্কা। ৫ চারে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

পরে সব আলো কেড়ে নেন ইব্রাহিম। ২ ছক্কা ও ১১ চারে ৯৮ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি। ফিফটি আসে রহমত শাহর ব্যাট থেকে, করেন ৩ চারে ৫৫।

ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে শুক্রবার টস জিতে বোলিং নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা জানান, তিনিও নিতেন বোলিং।

দুই বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে দুই অঙ্কে যেতে পারেননি দিমুথ করুনারত্নে (৪)। ফজলহক ফারুকির লেংথ বলে ধরা পড়েন স্লিপে। এই পেসার টিকতে দেননি কুসল মেন্ডিসকেও। ফরিদ আহমেদের শিকার অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।

অনেকটা সময় উইকেটে কাটিয়ে দেওয়া ওপেনার পাথুম নিসানকাকে ফেরান মুজিব উর রহমান। ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে কক্ষপথে ফেরান আসালাঙ্কা ও ধনাঞ্জয়া। তাদের জুটিতে দুইশর কাছাকাছি পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।

ফিফটির পর ইনিংস বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি ধনাঞ্জয়া। মোহাম্মদ নবিকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ভাঙে ৯৯ রানের জুটি।

শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চাহিদা পূরণ করতে পারেননি অধিনায়ক শানাকা, অভিষিক্ত দুশান হেমন্ত। ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউট হন আসালাঙ্কা। ওই ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

আফগানিস্তানের ব্যবহৃত সব বোলারই পেয়েছেন উইকেট। সর্বোচ্চ দুটি করে ফারুকি ও ফরিদ।

রান তাড়ায় শুরুতেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারায় আফগানিস্তান। সেই ধাক্কা সামলে ওঠে দলটি ইব্রাহিম ও রহমতের ব্যাটে। দলকে জয়ের শক্ত ভিত গড়ে দেন তারা।

চমৎকার ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শতকের দিকেও এগিয়ে যেতে থাকেন ইব্রাহিম। একটা সময় মনে হচ্ছিল, তার সেঞ্চুরি কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু হারিয়ে ফেলেন তিনি ধৈর্য্য। কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পের বাইরের বল সুইপ করে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ সীমানায় ধরা পড়ে মাঠ ছাড়েন একরাশ হতাশা নিয়ে। ভাঙে ১৪৬ রানের জুটি।

ফিফটির পর রহমতকে বেশিদূর যেতে দেননি অভিষিক্ত মাথিশা পাথিরানা। শাহিদিও পারেননি কাজ শেষ করে ফিরতে। দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মোহাম্মদ নবি ও নাজিবউল্লাহ জাদরান।

আগামী রোববার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

সংবাদটি শেয়ার করুন