ঢাকা ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২০
মো. নাসির উদ্দিন প্যাদা, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চরশিবা গ্রামে রশিদ মোল্লা তার স্ত্রী ও সন্তান ফেলে ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করেন। এর কিছু দিন পর মা সালমা বেগম অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে বাউফল উপজেলার কালাইয়া এলাকায় চলে যান। সবাই থেকেও এ দম্পতির সন্তান কিশোরীটি একপ্রকার অনাথ হয়ে যায়। আশ্রয় জোটে মামা শহিদুল আকনের বাড়িতে। মামা বাজারে বাজারে কলা বিক্রি করে পরিবার পরিজনের ভরনপোষন চালায়। পাশাপাশি বসবাস হওয়ায় এবং শহিদুল আকনের ঘরে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন করে কিশোরীকে। মেয়েটি এতে বাঁধা দিয়ে ব্যর্থ হয়। কাউকে এ ঘটনা না জানানোর জন্য ভয়ভীতি ও খৃুন করার হুমকি দেয়া হয়। এর সাথে মেয়েটিকে দেয়া হয় বিয়ের আশ^াস। প্রথম ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে ১০ এপ্রিল বিকালে। এভাবে বারবার ধর্ষিত হয়েছে অনাথ ১৬ বছরের এই কিশোরী। মামলা এবং সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব জানায়। সূত্র জানায়, এরই এক পর্যায়ে কিশোরীটি অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরী হওয়ার কারনে গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি প্রথমে সে বুঝতে পারেনি। দুই মাস আগে তার শরীরে গর্ভের লক্ষন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মামি রাহিমা বেগম (৩২) বিষয়টি টের পেয়ে কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিশোরী কোন কিছু গোপন না করে মামিকে সব কিছু বলে দেয়। মামি রাহিমা বেগম তার স্বামী শহিদুল আকনকে বিষয়টি জানায়। গরীব বলে কিশোরীর মামা শহিদুল আকন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের দারস্থ হয়। তারা কিশোরী ও ধর্ষনকারীর মধ্যে বিয়ে দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তাদের এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে সোমবার ধর্ষিতা কিশোরী লিজা আক্তার ধর্ষক কামরুল আকনের (৩০) বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষক কামরুল আকন একই গ্রামের ছিদ্দিক আকনের ছেলে। গলাচিপা থানার মামলা নং ১৪। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা এবং বয়স নিরুপনের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network