ববি উপাচার্যকে অপসারণ না করলে দক্ষিণাঞ্চল অচলের ঘোষণা

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৫

ববি উপাচার্যকে অপসারণ না করলে দক্ষিণাঞ্চল অচলের ঘোষণা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। তার পদত্যাগের জন্য উর্ধ্বতন কমকর্তাদেরও অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত করছে না। মঙ্গলবার দুপুর দুইটার মধ্যে দাবি মেনে নেয়া না হলে বরিশাল-ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পরীক্ষা ছাড়া একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। দিনভর ২৫টি বিভাগের পরীক্ষা চললেও শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেনি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘোরাফেরা করে সময় কাটিয়ে চলে গেছেন।

এর ধারাবাহিকতায় বেলা ১২টা থেকে এক দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সেখানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সুজয় শুভ, মোশারফ হোসেন, শিক্ষকদের মধ্যে হাফিজ আশরাফুল হক প্রমুখ।

কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, ‘উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউই ভালো নেই। এই উপাচার্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যাবে।’

বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায় বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে সংহতি জানাই। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে- যাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই চান না, তাকে অবিলম্বে অপসারণ করে সংকটের সমাধান করুন।’

প্রভাষক মুস্তাকিন বিল্লাহ বলেন, ‘গত ২৮ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। কিন্তু উপাচার্য পদত্যাগ করছে না। এ উপাচার্য পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত হবে না। তাই তার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে শিক্ষকরাও একত্মতা প্রকাশ করেছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন