রাঙ্গাবালীতে জেলেদের দুই গ্রুপের মারামারি আহত ১০

প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২২

রাঙ্গাবালীতে জেলেদের দুই গ্রুপের মারামারি আহত ১০

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মাছধরাকে কেন্দ্র করে নরেশ মণ্ডল ও পলাশের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় পলাশসহ তার পাঁচ জেলে মারাত্মক আহত হয়েছে। দুইজনকে জরুরী অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) এ ভর্তি করা হয়েছে। ২৭ জুন দুপুরে চরমোন্তাজ ইউনিয়নের সোনারচর অভয়ারণ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। বরিশালে ভর্তি হওয়া রোগীর স্বজন এবং পটুয়াখালী চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মেম্বর লোকমান এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, অভয়ারণ্য হওয়া স্বত্বেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে বিট ভাড়া নেয় নরেশ মণ্ডল ও পলাশ। সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে পলাশের সাথে নরেশ মণ্ডলের বনাবনি হচ্ছিল না। এই সুযোগে নরেশ মণ্ডল ও তার লোকেরা পলাশকে বাদ দিয়ে অভয়ারণ্যে মাছ ধরার চেষ্টা করে। এতে পলাশ নিষেধ করলে নরেশ মণ্ডলের লোকেরা অতর্কিত ধারালো দা, কুড়াল নিয়ে পলাশ ও তার লোকদের উপর হামলা চালায়। পরে পলাশরাও তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের ১০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানান হামলার শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শী বেল্লাল হাওলাদার। মারাত্মক আহতরা হলেন বেল্লাল হাওলাদার (২০), ধলু হাওলাদার (১৮), জুলাস সিকদার (২৪), জাহিদ সিকদার (১৯),পলাশ সিকদার (২৬)সহ এ বিষয়ে আহত পলাশ সিকদার স্থানীয় সাংবাদিক আল আমীন ও রফিককে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ খাঁন তাদের কাছে বিগত দিনে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন চাঁদা না দিলে সোনারচর এলাকায় মাছ ধরতে পারবেনা বলে হুমকি দেয়। ঘটনার দিন সোমবার সোনারচরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে মোশারেফ বাহিনীর লোক নরেশ মণ্ডল ও আরো কয়েকজন পলাশের জাল গুছিয়ে ডাঙায় ফেলে দেয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে মোশারেফ বাহিনীর লোকজন পলাশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন এবং মারধর করার হুমকি দেন। কিছুক্ষন পরেই কারো ফোন পেয়ে মোশাররফ খাঁন বাহিনীর, (১), রমেশ মন্ডল, (২). বিষ্য, (৩), অসিম, (৪), তাপস, (৫), আবুবক্কর, (৬), সেন্টু সহ ১৫/২০ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছুরি ও হাত কুড়াল দিয়ে পলাশ সহ তার জেলেদের উপর হামলা চালায় এবং নৃশংসভাবে কুপিয়ে ৫ জনকে আহত করে। এঘটনয়া ঘটনাস্থলে ২ জন জ্ঞান হারায় বাকিরা গুরুতর আহত অবস্থায় পরে থাকে। এছাড়াও স্থানীয় অন্য জেলেরা তাদের কে উদ্ধার করে পারে নিয়ে আসতে চাইলে চরমোন্তাজ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মিজানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাদের বাঁধা প্রদান করার অভিযোগ ও করেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভুগীরা জানান পুলিশের কারণে তারা ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ফাড়ির ইনচার্জ নিয়মিত জেলেদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেন বলেও জেলেরা অভিযোগ করেছেন। পরে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং দুজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় বরিশাল শেরেই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকি পলাশ, জুলহাশ ও জাহিদ আহত অবস্থায় গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে- ১০,১১,১২ নং বেডে ভর্তি রয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন