বরিশালে আশংকাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত রোগ

প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪

বরিশালে আশংকাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত রোগ

শীতের  আগমন থেকে মৌসুমের মধ্যভাগে এসে শৈত্য প্রবাহ মারাত্মক আকার ধারণ করায় বরিশালে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া সহ ঠান্ডা জনিত রোগ ব্যাধীর প্রকোপ আশংকাজনক হারে বাড়ছে। সুস্থ জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত। তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে নেমে যাবার মধ্যেই বুধবার বরিশালের আকাশে সূর্যের মুখ দেখা গেছে সকালে ১০.৪৭টায়। সাথে উত্তর-পশ্চিমের হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও শিশু-কিশোরদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলাই ছিল। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে বরিশাল অঞ্চলের শুধু সরকারী হাসপাতাল গুলোতেই ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগাক্রান্ত প্রায় সড়ে ৭শ রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছেন। যাদের প্রায় সবাই শিশু ও বয়োবৃদ্ধ। এর বাইরে বিপুল সংখ্যক নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুও আসছে। গত এক সপ্তাহে এখানের সরকারী হাসপাতালেই ৪০৫ জন এবং এক মাসে প্রায় সাড়ে ৯শ নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছেন। এছাড়া প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক ডায়রিয়া রোগীও আসছে এসব হাসপাতালে। প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া রোগী ভর্তিও হচ্ছেন। এছাড়া গত কয়েকমাসে বরিশালে প্রায় ৩৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হবার পাশাপাশি ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি ডেঙ্গু কমে এলেও মৃত্যুর মিছিল থেমে নেই। গত মঙ্গলবারও শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত বছরে প্রায় ৭৮ হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পুরুষ ও শিশু সরকারী হাসপাতালে ভর্তি সহ চিকিৎসা নিয়েছেন।

চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে বরিশালের সরকারী হাসপাতালগুলোতে ২ হাজার ১শ নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। প্রতিদিনই বরিশাল সহ এ অঞ্চলের সব সরকারী হাসপাতালগুলোতে বিপুল সংখ্যক নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগ সহ ডায়রিয়া আক্রান্তদের নিয়ে চরম বিরূপ পরিস্থিতির শিকার চিকৎসকগন। অনুমোদিত জনবলের অর্ধেকেরও কম চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী নিয়ে ধুকতে থাকা এ অঞ্চলের সব সরকারী হাসপাতালগুলোতে সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যবস্থাও এখন বিপর্যস্ত। তবে সব সরকারী হাসপাতালেই পর্যাপ্ত ওষুধ সহ চিকিৎসা সামগ্রী মজুদের কথা জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ শ্যমল কৃষ্ঞ মন্ডল।

চলমান মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হবার পরেই নিমোনিয়া সহ ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগব্যাধীর সাথে ডায়রিয়ার প্রকোপও বাড়ছে বলে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসাপাতাল কতৃপক্ষ সহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক জানিয়েছেন।
শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসেই নিউমোনিয়া আক্রান্ত প্রায় দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছে সরকারী হাসপাতালগুলোতে। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে বরিশালে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ নিয়ে সরকারী হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৭৭ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের ঠান্ডা এড়িয়ে চলা সহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে গায়ে প্রচুর রোদ লাগানোর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।
পৌষের শেষ ভাগ থেকেই দেশের অনেক এলাকার মত বরিশালেও শীত জাকিয়ে বসতে শুরু করে। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিচে নেমে মাঘের প্রথম দিন, ১৫ জানুয়ারী দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বরিশালে, ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩ ডিগ্রী কম। এমনকি মঙ্গলবার তাপমাত্রার পারদ আগের দিনের ৯ থেকে ১০.৫ ডিগ্রীতে বৃদ্ধি পেলেও বুধবার সকালে তা পুনরায় ৯.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে হ্রাস পেয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ২৫.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে গত তিনদিন ধরে ২২.৫-২২.৬ ডিগ্রীর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এর আগে তা ১৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসেও নেমে গিয়েছিল । যা ছিল স্বাভাবিকের প্রায় ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে ।
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি কৃষি ব্যবস্থায়ও মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শৈত্য প্রবাহ ও লাগাতর ঘন কুয়াশা সহ একের পর এক বৈরী আবহাওয়ায় মারাত্মক বিপর্যয়ে মুখে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ও কৃষি অর্থনীতি। ঘন কুয়াশা ও শীতের বিরূপ প্রভাবে বোরো বীজতলা, গোল আলু, গম ও শীতকালীন সবজি মারাত্মক সংকটের মুখে। চলমান শৈত্য প্রবাহ বোরো বীজতলায় ‘কোল্ড ইনজুরী’, গোল আলুতে ‘লেট ব্লাইট ডিজিজ’ এবং গমের জন্য ছত্রাকবাহী ‘ব্লাস্ট’ সংক্রমন সহ সবজী ফসলে গুনগত মান বিনষ্ট হচ্ছে। এমনকি গত অক্টোবরে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র পরে নভেম্বরে আরেক ঝড় ‘মিধিলি’ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমনের উৎপাদনে যথেষ্ঠ বিরূপ প্রভাব ফেলে।

চলমান মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হবার পরেই নিমোনিয়া সহ ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগব্যাধীর সাথে ডায়রিয়ার প্রকোপও বাড়ছে বলে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসাপাতাল কতৃপক্ষ সহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক জানিয়েছেন।
শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসেই নিউমোনিয়া আক্রান্ত প্রায় দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছে সরকারী হাসপাতালগুলোতে। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে বরিশালে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ নিয়ে সরকারী হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৭৭ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের ঠান্ডা এড়িয়ে চলা সহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে গায়ে প্রচুর রোদ লাগানোর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।
পৌষের শেষ ভাগ থেকেই দেশের অনেক এলাকার মত বরিশালেও শীত জাকিয়ে বসতে শুরু করে। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিচে নেমে মাঘের প্রথম দিন, ১৫ জানুয়ারী দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বরিশালে, ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩ ডিগ্রী কম। এমনকি মঙ্গলবার তাপমাত্রার পারদ আগের দিনের ৯ থেকে ১০.৫ ডিগ্রীতে বৃদ্ধি পেলেও বুধবার সকালে তা পুনরায় ৯.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে হ্রাস পেয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ২৫.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে গত তিনদিন ধরে ২২.৫-২২.৬ ডিগ্রীর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এর আগে তা ১৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসেও নেমে গিয়েছিল । যা ছিল স্বাভাবিকের প্রায় ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে ।
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি কৃষি ব্যবস্থায়ও মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শৈত্য প্রবাহ ও লাগাতর ঘন কুয়াশা সহ একের পর এক বৈরী আবহাওয়ায় মারাত্মক বিপর্যয়ে মুখে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ও কৃষি অর্থনীতি। ঘন কুয়াশা ও শীতের বিরূপ প্রভাবে বোরো বীজতলা, গোল আলু, গম ও শীতকালীন সবজি মারাত্মক সংকটের মুখে। চলমান শৈত্য প্রবাহ বোরো বীজতলায় ‘কোল্ড ইনজুরী’, গোল আলুতে ‘লেট ব্লাইট ডিজিজ’ এবং গমের জন্য ছত্রাকবাহী ‘ব্লাস্ট’ সংক্রমন সহ সবজী ফসলে গুনগত মান বিনষ্ট হচ্ছে। এমনকি গত অক্টোবরে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র পরে নভেম্বরে আরেক ঝড় ‘মিধিলি’ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমনের উৎপাদনে যথেষ্ঠ বিরূপ প্রভাব ফেলে।

সংবাদটি শেয়ার করুন