বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ‘একটি অসাধারণ গল্প’: বাইডেন

প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৩

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ‘একটি অসাধারণ গল্প’: বাইডেন

গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিকে ‘একটি অসাধারণ গল্প’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রচারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউসে পরিচয়পত্র পেশ করতে যান। এ সময় রাষ্ট্রদূত ইমরান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা জানান। পরে দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে লিখিত মন্তব্য করেন বাইডেন।

ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারত্বের কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। আমি বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী অংশীদারত্বের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করি।’

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রশাসন দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য আপনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কারণ আমরা আগামীর সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।’

লিখিত মন্তব্যে বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, উদ্বাস্তু, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিকসহ অন্য নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এ ছাড়াও দেশটি তার বৃহত্তর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিতে প্রসারিত করেছে, যা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে একটি প্রধান অংশগ্রহণকারী হতে প্রস্তুত।

বাইডেন বলেন, ‘আমি আশা করি, বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো গণতান্ত্রিক শাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য বিনিয়োগ করছি। বাংলাদেশের সব নাগরিক যাতে স্বাধীনভাবে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সামর্থ্য অর্জন করে, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, সে জন্য আমরা তাদের সমর্থন করি।’

লিখিত মন্তব্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্বাস্তু ও তাদের আশ্রয়দাতাকে সহায়তা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। একই সঙ্গে মানবিক সংকটের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সংবাদটি শেয়ার করুন