অভ্যন্তরীণ সমস্যায় কারও হস্তক্ষেপের দরকার নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২২

অভ্যন্তরীণ সমস্যায় কারও হস্তক্ষেপের দরকার নেই: প্রধানমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মানের স্থাপত্য কীর্তি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের উদ্বোধন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফেরাতে শান্তিচুক্তি সইয়ের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা সমাধানে কারও হস্তক্ষেপের দরকার নেই। অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেশের নাগরিকরাই সমাধানে সক্ষম। আমরা কিন্তু নিজেরা করেছি। বাইরের কাউকে এখানে হাত দিতে দিইনি। কারণ এটা আমার নিজের দেশের ভেতরে। অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমার দেশের নাগরিক। তাদের কোনো সমস্যা থাকলে আমরা সমাধান করব। সেভাবেই আমরা সেটা করতে পেরেছি।

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজকের যে সামরিক জাদুঘর সেটা নির্মিত হয়েছিল খুব ক্ষুদ্র পরিসরে। বিজয় সরণির পাশে এই জায়গায় জাদুঘরটি প্রস্তুত করা হয়। আমার আকাঙ্ক্ষা ছিল এটাকে এমনভাবে তৈরি করা যা খুব আকর্ষণীয় স্থান হবে।

তারই পাশে আরেকটি জায়গায় আমি প্রথমবার যখন সরকারে আসি তখন প্ল্যানেটোরিয়াম করি। যে কোনো কাজ প্রথমবার যখন করতে গেছি প্রতিটি ব্যাপারেই পরবর্তী সরকার এসে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। প্ল্যানেটোরিয়াম যখন আমি করলাম এ জন্য আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দেওয়া হয়েছিল, কেন আমি ঠিক জানি না।

শেখ হাসিনা বলেন, প্ল্যানেটোরিয়াম যখন আমরা করেছিল তখনই সমস্ত ইউটিলিটিগুলো যেন সামরিক জাদুঘর এবং প্ল্যানেটোরিয়াম সবাই যেন শেয়ার করতে পারে সে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সেই সঙ্গে সঙ্গে সরকার প্রধান হিসেবে বিভিন্ন দেশে আমরা যাই বা কোনো সরকার প্রধান যখন আসে আমাদের দেশে বেড়াতে তখন যেসব উপহার দেয় সেগুলো সংরক্ষণ করা এবং দৃষ্টিনন্দনভাবে রাখা ও মানুষের সামনে তুলে ধরা… আমাদের একটি তোসাখানা জাদুঘর আছে সেটা আমাদের বঙ্গভবনে… ওটা স্টোর রুমের মতো সব জিনিসগুলো রাখা। সেগুলো মানুষের প্রদর্শন করার ব্যবস্থাটাও আমি নিই।

একইসঙ্গে আমরা তোসাখানা জাদুঘরও করি এবং এটা সামরিক বাহিনীর হাতেই দিয়েছিলাম। একটা কমিটি আমরা করে দেই। সেই সঙ্গে সামরিক জাদুঘরটাকে অত্যন্ত আধুনিক করে গড়ে তোলা, যেন সেটা এত দৃষ্টিনন্দন হয় যে সারা বিশ্বে যত সামরিক জাদুঘর হয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। সেটাই আমার আকাঙ্ক্ষা ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সামরিক জাদুঘরের পাশে একটি জায়গা ছিল। সেখানে একটি শিশু পার্ক করা হয়। কোনো একজন, আমি নাম বলতে চাই না, হয়তো এখন নাম শুনলে লজ্জা পাবেন। তিনি হঠাৎ দাবি করে বসলেন, সেখানে মাল্টি স্টোরিড বিল্ডিং করবেন। আমার তখন মিলিটারি সেক্রেটারি ছিলেন মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন। আমি তাকে বললাম, এই জায়গাটা কিছুতেই মাল্টি স্টোরিড বিল্ডিং করা যাবে না। এটা করতে গেলে সামরিক জাদুঘর এবং প্ল্যানেটোরিয়াম সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে। ওখানে আমি শিশু পার্ক করে দেবো

সংবাদটি শেয়ার করুন