ঢাকা ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২০
গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা বাসট্যান্ডে ড্রামের ভেতর থেকে গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিনের (৩৪) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত খালেক হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় খালেক হাওলাদারের গৌরনদীর মাহিলাড়া বিমেরপার এলাকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রশি উদ্ধার করে পুলিশ।
গৌরনদী থানা পুলিশ বলছে, সাবিনা ইয়াসমিনের খুনের ঘটনায় রহিমা বেগম এবং তার স্বামী খালেক হাওলাদার জড়িত রয়েছেন। তবে সাবিনার মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে খালেক হওলাদার আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে অভ্যন্তরীণ রুটের পিএস ক্লাসিক পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে ড্রামের ভেতর সাবিনা ইয়াসমিনের মরদেহ পাওয়া যায়। তার আগেই বাস থেকে পালিয়ে যান ড্রামের সঙ্গে থাকা এক পুরুষ যাত্রী।
সাবিনা ইয়াসমিন বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর এলাকার সাহেব আলীর মেয়ে এবং গৌরনদী পৌর শহরের দিয়াসুর এলাকার বাসিন্দা কাতার প্রবাসী শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী। স্বামী কুয়েতে থাকায় ৩ সন্তান নিয়ে নারায়গঞ্জের ফতুল্লায় ভাড়া বাসায় থাকতেন সাবিনা।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, নারায়গঞ্জ থেকে সন্তানদের নিয়ে শুক্রবার সকালে গৌরনদীতে আসেন সাবিনা ইয়াসমিন। এরপর সকাল ১০টার দিকে তার মুঠোফোনে একটি কল আসে। ফোনে কথা বলার পর সন্তানদের রেখে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ভুরঘাটা বাসট্যান্ডে ড্রামের ভেতর থেকে সাবিনা ইয়াসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গৌরনদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু করা হয়।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, সাবিনা ইয়াসমিন ও তার কুয়েত প্রবাসী স্বামী শহিদুল হাওলাদারের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকার খালেক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি প্রায় ১০ মাস আগে ৪ লাখ টাকা দেন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। পরে এ কারণে খালেক হাওলাদার বিদেশে যেতে অসম্মতি জানালে সাবিনা সম্প্রতি তাকে (খালেক) দেড় লাখ টাকা ফেরত দেন। শুক্রবার সকালে খালেক হাওলাদার মুঠোফোনে কল করে কৌশলে সাবিনাকে ডেকে নেন। এরপর তার বাসায় নিয়ে পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সাবিনা ইয়াসমিনের হাত-পা বাঁধা হয়। এরপর হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেন খালেক। পরে তার মরদেহ গুম করতে ড্রামে ভরা হয়।
গৌরনদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, রোববার দুপুরে খালেক হাওলাদারের গৌরনদীর মাহিলাড়া বিমেরপার এলাকার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রশি উদ্ধার করেছে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় তার স্ত্রী রহিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে আত্মগোপন করায় খালেক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network