ঢাকা ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২০
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,২৩ নভেম্বর।। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখন নিজ নিজ দলের সমর্থন পেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনকে ঘিরে এসকল সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের দোয়া চেয়ে রঙিন ব্যানার ও ফেষ্টুন প্রদর্শন সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়ে উঠছেন। মেয়র প্রার্থীরা দলের টিকিট পেতে জেলা, উপজেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃস্থানীয়দের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। সেই সাথে চালাচ্ছেন জোর লবিং। কে কোন দলের মনোনয়ন পাবেন, ভোটারদের এমন আলোচনায় সরব হয়ে উঠছে চায়ের স্টল গুলোতে। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাপা (এ) ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন’র দলীয় মনোনয়ন কারা পাচ্ছেন সেটি দেখার অপেক্ষায় কুয়াকাটা পৌরবাসী। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে থাকলেও বিএনপি, জাপা’র প্রার্থীতা নিয়ে মুখ খুলছেননা কেউ। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের একাধিক মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সমগ্র কুয়াকাটা সয়লাব হলেও বিএনপি, জাপা ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন’র কোন প্রচারনার পোষ্টার চোখে পড়েনি এ পর্যন্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ থেকে হাফ ডজন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে তদবির চালাচ্ছেন। তারা হলেন বর্তমান পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর আলম টিটো, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গাজী মো.ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মো.শাহ আলম হাওলাদার এবং অপর সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু অনন্ত মূখার্জী মাঠে রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিধাবিভক্তি শুরু হয়েছে।
একই সাথে বিগত পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হতে মাঠে থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনির আহম্মেদ ভূঁইয়া এবারও শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন চাইতে পারেন।
এছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন’র একক প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে হাজী নুরুল ইসলাম হাওলাদারের। তিনি বিগত পৌর নির্বাচনেও পাখা প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকতে পারেন জাতীয় পার্টি থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া হাইব্রীড নেতা মো.আনোয়ার হাওলাদার। তিনি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সাথে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন বলে তার অনুসারীদের অভিমত। আনোয়ার হাওলাদার গত নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। গত নির্বাচনে অংশ নেয়া পৌর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল আজিজ মুসুল্লী এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এবারের কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে কৌশলী হয়ে মাঠে কাজ করতে পারে বলে এমন কথা অনেকেই বলেছেন।
কুয়াকাটা পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয় ১৫ডিসেম্বর ২০১০সালে। ৯টি ওর্য়াড নিয়ে গঠিত পৌরসভার আয়তন ১২.৭৫ বর্গ কিলোমিটার। গ্রাম রয়েছে ২৫টি। বর্তমান জনসংখ্যা ৫০১২৭.০০ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার। ২০১১ সালে ৩৪ নং লতাচাপলী মৌজার ১১৪০দশমিক ৫৫একর জায়গা নিয়ে পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই পৌরসভার কার্যক্রম চলে আসছিল নির্বাচিত মেয়র দিয়ে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ইউসুফ আলী বলেন, ২৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদে তৃনমূলে প্রার্থী বাছাই করা হবে। এর পরে জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি-সমস্পাদক স্বাক্ষরিত প্রাথাী নির্বাচনী প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডে (কেন্দ্রে)পাঠানো হবে। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষ হয়ে নেতা কর্মীরা নির্বাচনী মাঠে কাজ করবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবদুর রশিদ বলেন, কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি সাংবদিকদের জানান।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network