ঢাকা ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে ॥ সড়ক ও জনপদ বিভাগের বরিশালের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক একে এম সেলিম হাওলাদারকে ৫ বছর কারাদন্ড সহ অর্ধ কোটি টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে বরিশাল নগরীর আলেকান্দা মৌজায় ১১ শতক জমিতে তার স্ত্রীর নামে নির্মিত ৪ তলা বাড়ি রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয়া হয়েছে। সেলিমের উপস্থিতিতে দুর্নীতির অপরাধে মঙ্গলবার সাজার এ রায় দেন বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মহসিনুল হক। আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন আর রশিদ জানায়, তাকে দুনীতি আইনের ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় দুই বছর কারাদন্ড এবং ২৭ এর ১ ধারায় ৩ বছর কারাদন্ড ও অর্ধকোটি টাকা অর্থদন্ড ও স্ত্রীর নামের বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয়া হয়। সেলিমের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে অর্থদন্ডের টাকা আদায় শেষে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া এবং তার স্ত্রীর নামের বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাছুদুল হক খান মামলার বরাত দিয়ে বলেন, সেলিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী। অভিযোগে তিনি বলেন, সেলিমের কাছে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব চেয়ে নোটিশ জারি করলে সে ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর হিসাব দাখিল করেন। হিসাবে আলেকান্দা মৌজায় ১১ শতক জমিতে তার স্ত্রীর নামে নির্মিত ৪ তলা বাড়ির খরচ দেখায় ২৭ লাখ ২৭ হাজার ২শ’ ১৫ টাকা। তার হিসাব বিবরনী যাচাই করতে গিয়ে তদন্ত কমিটি সওজের ৪ সদস্যর কমিটি ২০১০ সালের ১ মার্চ বাড়িটির পরিমাপ করে ২৭ মার্চ বাড়িটির ব্যায় ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৭শ’ ৩৫ টাকা বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি হিসাব বিবরনীতে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৫শ’ ২০ টাকার হিসাব গোপন করে মিথ্যা তথ্য দাখিল করেন। এছাড়াও সেলিমের ১৯৭৯ সালের ৮ মার্চ হতে ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আয় ব্যায় বিবরনী যাচাই করে দুদক কর্তা জানতে পারে তিনি ২২ লাখ ৭৩ হাজার ৫শ’ ৯৮ টাকা আয়ের উৎস বর্হির্ভূত দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেন। এ ধরনের অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের হলে তদন্তে সত্যতা পেয়ে ২০১৫ সালের ১৯ মে দুদকের উপ সহকারী পরিচালক তানভীর আহমদ সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় ৫ জনের সাক্ষ্য প্রদানে সক্ষম হয়। সাক্ষী প্রমানে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত দুর্নীতিবাজ সেলিমকে ঐ সাজা দেন। রায় শেষে তাকে সাজাভোগে পুলিশ প্রহরায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network