ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২১
মহিপুর প্রতিনিধি।।
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পৌর যুবলীগের সদস্য রফিক ফরাজীকে মারধর করে নগত ১৭ হাজার টাকা এবং একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রবিবার (১০ ই জানুয়ারি) আনুঃ ১০ টা ৩০ মিনিটের দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা পুলিশ বাক্স সংলগ্ন এই মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ কারি মোঃ রফিক ফরাজী জানায়, গত ২৮ শে ডিসেম্বর কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনের পর থেকে হোসেনপাড়া বাসিন্দা মোঃ রফিক, মোঃ হালিম, মোঃ মতিউর,মোঃ মনির, মোঃ আনোয়ার, মোঃ বায়েজীতসহ নব-নির্বাচিত মেয়রের স্বজনরা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। অন্যথায় কুয়াকাটা ছেড়ে চলে যাবার হুমকী প্রদান করে। এমনকি তার বাড়ী ও চলাচলের পথ রোধ করে প্রান নাশের হুমকী দেয়। রবিবার রাতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিল। চৌ-রাস্তার মোড়ে মনিরের ফলের দোকানের সামনে আসলে অতর্কিত ভাবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে এলো পাথারী কিল ঘুষি দিতে থাকে। তাদের সাথে আরও ৭-৮জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী এদের সাথে ছিল। রফিক দাবী করেন নব নির্বাচিত মেয়রের নির্দেশেই তার উপর এমন হামলা করা হয়। ফল বিক্রেতা মনির অভিযোগ করেন, মারধরের ঘটনার স্বাক্ষী না হতে তাকেও হুমকী দেয়া হয়েছে। এ দিকে আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ছালাম গাজী অভিযোগ করেন, নির্বাচনের পর তার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে হাঁস মুরগী সহ তার ঘরের জিনিস পত্র লুট ও ভাংচুর করেছে নব নির্বাচিত মেয়রের লোকজন।
কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের আহবায়ক ইসাহাক শেখ জানান,নৌকার সমর্থক জাকির হোসেন, আবু হানিফ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ছালাম গাজী, মোঃ মোশাররফ, পৌর যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামান সহ একাধিক নেতাকর্মিকে মারধর ও হুমকী দেয়া হচ্ছে। তিনি আর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীণ আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মারধর করা হচ্ছে। যুবলীগের আহবায়ক অভিযোগ করেন, হাইব্রীড ও সুবিধাভোগী কতিপয় নেতা নব নির্বাচিত মেয়রের ছত্র ছায়ায় বিএন পি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের উপর চড়াও হচ্ছে। এলাকা ছাড়ার হুমকী দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে নব নির্বাচিত মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, রোববার রাতে জিরো পয়েন্টে পুলিশ বক্সে তিনি মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় পুলিশ বক্সের বাহিরে চিৎকার চেঁচামিচি শুনে বাহিরে বের হয়। পরে ওখানে আর কাউকে দেখা যায়নি। তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তার কোন লোকে কাউকে মারধর কিংবা চাঁদা দাবী করেনি এবং কুয়াকাটা তার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই। এই অভিযোগ তার ব্যক্তিত্ব এবং তার সুনামকে নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (ও,সি) বলেন, রাতে তিনি পুলিশ বক্সে অবস্থান করছিলেন। এ সময় হৈ চৈ ও লোকজনের জটলা দেখতে পান। কি হয়েছে জনতে চাইলে জড়ো হওয়া লোকজন যার যার মত চলে যায়। মারধর কিংবা চাঁদা দাবীর বিষয়ে এখন তখন কেউ অভিযোগ করেনি।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network