রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, মৃত্যু বেড়ে ১১

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, মৃত্যু বেড়ে ১১

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়ে আরও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এতে প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা বসতি ও শতাধিক স্থানীয়দের ঘর পুড়ে গেছে।

মঙ্গলবার বিকেলের দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসিন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সকালে দুই শিশু ও দুই নারীসহ ৭ জনের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সেখান থেকে আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জনে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আগুনের উৎস সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছেন।

ক্যাম্পে আগুন লাগার পর পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয় বিভিন্ন এনজিওর পক্ষ থেকে। সেখানে দায়িত্বরত ব্র্যাকের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রঞ্জু মিয়া জানান, সোমবার বিকেলে থেকে দুই সহস্রাধিক আহত মানুষকে তারা চিকিৎসা দিয়েছেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন।

তিনি বলেন, ক্যাম্পের বসত ঘরগুলো ঝুপড়ির মতো লাগোয়া হওয়ায় এবং সে সময় বাতাসের গতি বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়ায়। আগুন লাগার সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীসহ স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন।

ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টার পর রাত সোয়া ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কথা জানান কক্সবাজারের ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি আতিকুর রহমান। তবে ক্যাম্পের কোনো কোনো অংশ সারারাতই ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।

কক্সবাজার ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন জানান, পাশাপাশি চারটি ক্যাম্পের মধ্যে ৮ নম্বর ক্যাম্প পুরোপুরি পুড়ে গেছে। বাকি তিনটি ক্যাম্পেরও বেশিরভাগ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার ঘর পুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ কত, তা নিরূপন করবে তদন্ত কমিটি।

সংবাদটি শেয়ার করুন