কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে,সবাইকে সজাগ থাকতে হবে বিএমপি কমিশনার।

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২০

কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে,সবাইকে সজাগ থাকতে হবে বিএমপি কমিশনার।
১১ অক্টোবর ২০২০ খ্রিঃ ড্রিল সেড পুলিশ লাইন্স বরিশালে , আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২০ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্তে বিএমপি কর্তৃক নগরীর পুজা উদযাপন কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও সকল স্তরের জনগণের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার মহোদয় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা যতো বেশী শৃঙ্খল থাকবো ততোধিক নিরাপদ থাকবো। বরিশাল নগরীর নাগরিকদের মধ্যে একে অন্যের পরিপূরক হয়ে শৃঙ্খলার সাথে কাজ করার যে ঐতিহ্য রয়েছে তা যেন কোন অপশক্তি ভাঙতে না পারে। তাই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনার পাশাপাশি পুজা উদযাপন কমিটি সহ মনোনয়নকৃত ভলান্টিয়ারগণকে সজাগ থাকতে হবে এবং আমাদের মোতায়েনকৃত পুলিশ সহ অন্যান্য শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা প্রদান করতে হবে । এবিষয়ে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
মনস্তাত্ত্বিকভাবে শিথিল মনে হলেও করোনার প্রাদুর্ভাব কমেনি। নিয়ম মেনে মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা এখন পর্যন্ত সহনশীল পর্যায়ে রয়েছি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক বিহীন কোন লোক পুজা মন্ডপে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে । তিনি আরও বলেন,সাদা পোশাকে সহ আমাদের পুলিশি টহল থাকবে এছ্ড়াও র‌্যাব আনসার বাহিনী সহ অন্যান্য সংস্থা নিয়জিত থাকবে কোথাও কোন ব্যাপ্তয় ঘটলে আমাদের অবগত করবেন। যতবেশি জানাবেন, যতোবেশী পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন ততো বেশি সমৃদ্ধ হয়ে আরও নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে পারবো। উপ-পুলিশ কমিশনার সদর-দপ্তর বিএমপি জনাব আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্’র সভাপতিত্বে, সহকারী পুলিশ কমিশনার বিএমপি ফোর্স এন্ড কাউনিয়া থানা জনাব মোঃ মাসুদ রানা’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিএমপি জনাব প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার বিএমপি (দক্ষিণ) জনাব মোঃ মোকতার হোসেন পিপিএম-সেবা,উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক জনাব মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার নগর বিশেষ শাখা বিএমপি জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক,উপ-পুলিশ কমিশনার সাপ্লাই এন্ড লজিস্টিকস জনাব খান মুহাম্মদ আবু নাসের উপ-পুলিশ কমিশনার গোয়েন্দা বিএমপি জনাব মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম বার সহ বিএমপি’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ । বরিশাল মেট্রোপলিটন এর কোতয়ালি মডেল থানা এলাকায় ৩৬টি ,এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ১৮টি ,বন্দর থানা এলাকায় ১১টি,কাউনিয়া থানা এলাকায় ১১ টি সর্বমোট ৭৬ টি পুজা মন্ডপ এর পুজা উদযাপন কমিটির উদ্দেশ্যে নিম্নবর্ণিত করণীয়/বর্জনীয় বিষয় সমূহ মাননীয় বিএমপি কমিশনার মহোদয় তুলে ধরেন ।
১। আয়োজক কমিটি কর্তৃক প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা , ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন ও বিসর্জনস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২। স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও স্বেচ্ছাসেবক লিখিত আর্মড ব্যান্ড প্রদান করতে হবে।
৩। নারী দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশীর জন্য পর্যাপ্ত নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে ।
৪। স্বেচ্ছাসেবকদের নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর আগামী ১৫/১০/২০২০খ্রিঃ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করতে হবে।
৫। মন্ডপসমূহ খোলামেলা থাকতে হবে। মন্ডপস্থলের চারপাশ খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। চারপাশ আটকানো থাকলে উপরে খোলা রাখতে হবে।
৬। মন্ডপের ভিতরে একসাথে ২০ জনের বেশী থাকবে না এবং আগত দর্শনার্থীরা প্রবেশ পথে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে মন্ডপে প্রবেশ করবেন এবং মন্ডপের ভিতরেও ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখবেন।
৭। প্রত্যেক মন্ডপের প্রবেশ এবং বাহির পথে জীবানু নাশক দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৮। প্রতিটি মন্ডপের গেটে থার্মাল স্ক্যানার/তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র রাখতে হবে।
৯। কোন ধরনের পটকা/আতশবাজি ,লাইটিং করা যাবে না।
১০। ‘‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’’। মাস্কবিহীন কোন দর্শনার্থী মন্ডপে প্রবেশ করবেন না। পুজা উদযাপন কমিটি মন্ডপের গেটে ফ্রি মাস্ক এর ব্যবস্থা রাখবেন।
১১। ভিতরে ও বাহিরে কোন প্রসাদ বিতরণ করা যাবে না।
১২। কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
১৩। পুষ্পাঞ্জলী/আড়তী ভার্চুয়ালী করতে হবে।
১৪। মন্ডপে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চত করতে হবে ।
১৫ । নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতীমা বিসর্জন করতে হবে ।
সংবাদটি শেয়ার করুন