বরিশালের পোশাক বাজারে উপচে পরা ভিড়

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২১

বরিশালের পোশাক বাজারে উপচে পরা ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কিসের করোনা সংক্রমণ ভয়, কিসের মৃত্যু আতংক, কোথায় স্বাস্থ্য বিধি- সব পায়ের নীচে ফেলে দল বেধে সবাই ছুটছে ঈদের কেনাকাটা করতে। সাথে রায়েছে কোলের শিশুও। কুচ পরোয়ানা নেহি। পোষাক কিনতে হবে। কিনতে হবে শাড়ি, লেটেস্ট থ্রী পিচ। এক একটা দোকানে, কিংবা শপিংমলে উপচে পড়া ভড়ি। একজনের কাধের উপরে যেন আরেকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। সবার আগে কেনা চাই পছন্দের পোষাক। প্রতিযোগিতার এ বাজারে প্রতিবারের মত ভীড় সামলাতে চকবাজারে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যান চলাচল। সাধারণ মানুষ যত খুশি কিনুক।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে এভাবেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বরিশালের পোশাক বাজারে ক্রেতাদের ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে। ক্রেতাদের পাশাপাশি বিক্রেতারাও মানছেন না প্রশাসনিক নির্দেশনা। ফলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের পরেও বরিশালের পোশাক বাজারের দোকানপাট যেমন খোলা থাকছে, তেমনি স্বাস্থবিধি উপেক্ষা করে বিক্রয় প্রতিনিধি ও ক্রেতাদের কেউ ইচ্ছা হলে মাস্ক পরছেন, কেউ পরছেন না। সেই সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার ও শারীরিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না একেবারেই।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে দিনের কিছু কিছু সময় ক্রেতাদের চাপ বেশি থাকায় কিছুটা সমস্যায় পরতে হয়। তবে সার্বিক দিক থেকে যতো ক্রেতা মার্কেটে দেখা যায়, বিক্রির পরিমাণ ততোটা নয় বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এদিকে বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলছেন, ক্রেতারা তাদের ইচ্ছেমতো চলছেন, বড়দের সঙ্গে শিশুদেরও মার্কেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। আবার ক্রেতাদের মধ্যে কেউ মাস্ক পরছেন, কেউ পরছেন না। আবার মাস্ক পরতে বললে কেউ পরছেন, কেউবা বাকযুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছেন।
ঠিক এর উল্টো অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। তারা বলছেন, বড় বড় সপিং মল, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানা বা কার্যকরে কোনো পদক্ষেপই নেয়নি অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। সামান্য একটু হ্যান্ড স্যানিটাইজারও পাওয়া যায় না অনেক দোকানে। আর চকবাজার, কাটপট্টি রোডে দোকানের সামনের ফুটপাতও দখল করে রেখেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ফলে যানবাহনের সঙ্গে সড়ক দিয়ে মানুষদেরও গাদাগাদি করে হাটতে হচ্ছে এখানে। আর এভাবেই করোনা সংক্রমণ হতে পারে ধরে নিয়েই ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা। মাস্ক কেউ কেউ ব্যবহার করলেও স্বাথ্যবিধির দিকে নজর নেই কারো।
তবে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। যথারীতি আজও সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠপর্যায়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আর নিজের স্বার্থেই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

সংবাদটি শেয়ার করুন