ঢাকা ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৯ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২১
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মালিহা ফরিদী ওরফে সারা (২০) নামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মালিহা বরিশালে ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (স্নাতক) ছাত্রী ছিলেন।
আজ সোমবার সকালে হাসপাতালের মর্গে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মালিহার লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে। বিকেলে ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। এর আগে গতকাল রোববার গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চিকিৎসকদের নিয়ে হিমঘরে গিয়ে লাশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে মালিহা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানিয়ে কয়েকজন তাঁকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। ওই রাতেই তিনি মারা যান। স্বজন পরিচয় দিয়ে যাঁরা তাঁকে হাসপাতালে রেখে গিয়েছিলেন, তাঁদের খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর লাশ সেখানেই পড়ে ছিল। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে গতকাল কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
পরে জানা যায়, মালিহা বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এ কে এম ফরিদ আহমেদের মেয়ে। তিনি নগরের কলেজ অ্যাভিনিউ এলাকার ৩ নম্বর লেনের একটি ফ্ল্যাটে একা থাকতেন। বাড়িভাড়া নেওয়ার জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশের সরবরাহ করা ভাড়াটে তথ্য ফরমে তিনি স্বামীর নাম উল্লেখ করেন মো. তানভীর রাফি। গতকাল রাতে তথ্য ফরমে উল্লেখ করা মালিহার বাবার মুঠেফোন নম্বরে কল করা হলে এক তরুণ সেটি ধরেন। ফরিদ আহমেদ আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ফরিদ আহমেদের নম্বর নয়।’ ভাড়াটে ফরমে স্বামীর যে নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে, তা ১০ অঙ্কের। এটি ১১ সংখ্যার হয়।
পুলিশ বলছে, মালিহার মৃত্যু রহস্যজনক। তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, মালিহার সঙ্গে মো. ইমন নামের এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে ইমনের মা–বাবাই মালিহাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ ইমনের মা–বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
ইমনের মা–বাবা পুলিশকে জানান, শনিবার রাতে মালিহা তাঁদের ফোন দিয়ে জানান যে তিনি খুব অসুস্থ। এরপর রাত দেড়টার দিকে তাঁরা মালিহার ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তখন তাঁরা মালিহার বাবাকে কিছুই জানাননি। রোববার সকালে তাঁরা মালিহার বাবাকে ফোন দিয়ে জানান যে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network