ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
কোনো স্কুলের শিক্ষার্থী আসন ফাঁকা রাখতে চাইছে না সরকার। ফলে ডিজিটাল ভর্তি লটারিতে যেসব শিক্ষার্থী সুযোগ পায়নি, এবার সেসব শিক্ষার্থীকেও সুযোগ দিতে চলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এই সুযোগ শুধুমাত্র বেসরকারি বিদ্যালয়ের জন্য। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন খালি থাকলে শিক্ষার্থীরা সেই আসনে ভর্তি হতে পারবে। চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হবে।
এর আগে ডিজিটাল ভর্তি লটারির আগে অনেক অভিভাবক সন্তানের স্কুলে ভর্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। এর আগে একাধিক অভিভাবক জানিয়েছিলেন অনেকে সন্তানের ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেনি। তাদের সন্তানরা এখন কোথায় যাবেন। তবে এ প্রক্রিয়ার উন্মুক্তভাবে শিক্ষার্থীরা বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ গোলাম ফারুক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, অনেকে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আবেদন করেনি। বিষয়টি আমিও জেনেছি। তবে সব বিদ্যালয়ে ভর্তি শেষ হওয়ার পর সবাইকে সুযোগ দেয়া হবে।
সব শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে কিনা জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক বলেন, সব শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। বিষয়টি এমন হয়েছে অনেকে পছন্দের স্কুলে সুযোগ পায়নি। এর মানে এই নয় যে আর স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না।
জানা যায়, দেশে এবারই সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইনে লটারির মাধ্যমে স্কুলগুলোর জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। কেন্দ্রীয় লটারিতে যুক্ত হওয়া সারাদেশের ২ হাজার ৯০৭টি স্কুলে ভর্তির জন্য ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮০৭ শূন্য আসনে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৮২১টি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পচ্ছন্দক্রম অনুসারে আবেদন এসেছে।
এতে মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। এরমধ্যে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী বেসরকারি স্কুলের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। তবে আবেদন করেও ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পায়নি। মাউশি সূত্র জানিয়েছে লটারিতে অংশ নিয়েছে এমন স্কুলে এখনো ৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৬টি শূন্য আসন রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি বিদ্যালয়) ফৌজিয়া জাফরীন বলেন, যারা আবেদন করেও লটারিতে ভর্তির সুযোগ পায়নি তারা আসন খালি থাকা স্কুলে সরাসরি গিয়ে ভর্তি হতে পারবে। অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেনি তারাও এ সুবিধা পাবে। সর্বশেষ যেসব স্কুলে আসন শূন্য রয়েছে, সেই তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে চাওয়া হয়েছে। সুত্র- বাংলাদেশ জার্নাল
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network