বন্ধুকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে হত্যা: ঘাতকের দায় স্বীকার

প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২

বন্ধুকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে হত্যা: ঘাতকের দায় স্বীকার

পায়রা নদীর পাড়ে তিন বন্ধু মাদক সেবনের একপর্যায় আরিফুর রহমান অপিকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে অপি নিখোঁজ বলে প্রচারণা চালিয়েছে অপর দুই বন্ধু। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চরখালীতে গত ২৮ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে।

হত্যার দুই মাস পর অপির ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোলায়মান হোসেন লিমনকে গ্রেপ্তার করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৮) সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদে লিমন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বন্ধুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

পটুয়াখালী র‌্যাব ক্যাম্পে রোববার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার মো. শহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জের শাহজাহানপুর ইউনিয়নের গজপুর গ্রাম থেকে লিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পটুয়াখালী আনা হলে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দোষ স্বীকার করেন লিমন। লিমনের বাড়ি মির্জাগঞ্জের চরখালী এলাকায়।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে লিমন জানান, দীর্ঘদিন ধরে লিমন, অপি ও সাব্বিরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। তিন বছর ধরে তারা মাদকের নেশায় আসক্ত। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে লিমনের বাসায় যান অপি। সেখান থেকে লিমনকে নিয়ে দুজন ঘুরতে বের হন। পথে সাব্বিরের সঙ্গে দেখা হয়। পরে তিন বন্ধু পায়রা নদীর বেড়িবাঁধের ওপর মাদক সেবন করেন।

লিমন র‌্যাবকে জানান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দুষ্টামির ছলে ধাক্কা দিলে অপি নদীতে পড়ে যান। তাকে চেষ্টা করেও তুলতে না পেরে সাব্বির ও লিমন বাসায় ফেরেন।

অপি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর মির্জাগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেন তার বাবা আলতাফ হোসেন হাওলাদার। এরপরই তদন্তে নামে র‌্যাব।
র‌্যাব জানায়, ঘটনার ৫ দিন পর পায়রা নদীর দক্ষিণ পাড়ে পটুয়াখালী সদরের ছোটবিঘাই ইউনিয়নের চরআকবর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একটি মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। র‌্যাব-৮ পটুয়াখালী কাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অপির বাবাকে নিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন।
আলতাফ হাওলাদার ওই দিনই মির্জাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
র‌্যাব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আসামি সাব্বিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন