দুমকিতে আ’লীগ-বিএনপি রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ ॥ পুলিশসহ আহত ৪০

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২২

দুমকিতে আ’লীগ-বিএনপি রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ ॥ পুলিশসহ আহত ৪০

পটুয়াখালীর দুমকিতে বিএনপি ও আওয়ামী যুবলীগের মধ্যে রক্তাক্ষয়ি সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এসময় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। শনিবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় কর্সূচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে শতাধিক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়। এ সময় সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আওয়ামী যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ওই এলাকা অতিক্রমকালে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এবং চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ।

দফায় দফায় এ সংঘর্ষের একপর্যায়ে ওই এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এ সময় আওয়ামী যুবলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয় ঢুকে আসবাবপত্র চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া ভাঙচুর করা হয় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি।

আহতদের মধ্যে বিএনপির আহবায়ক মো. খলিলুর রহমান, যুগ্ম-আহবায়ক জাহিদ হাওলাদার, ফারুক হাওলাদার, যুবদলের সদস্য সচিব রিপন শরীফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামীম হাওলাদার, শ্রমিক দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, পুলিশ কনস্টেবল মো. দেলোয়ার হোসেনসহ ৭ জনকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী যুবলীগ একে অপরকে দায়ী করেছে।
আহত দুমকি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু এ সময় আওয়ামী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং দলীয় কার্যালয়টি ভাঙচুর করে। এতে আমাদের ২৫ থেকে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং এদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর।

অন্যদিকে দুমকি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, দেশব্যাপী জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের দিকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে জনতা কলেজের সামনে বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের মিছিলে হামলা চালায়। পরে আমাদের কর্মীরা তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। আমরা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করিনি। ওটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে হতে পারে। এ বিষয় আমরা কিছু জানিনা এবং আমরা যুবলীগ এ রাজনীতিতে বিশ্বাসও করি না।

দুমকি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম জানান, বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন