কীটনাশক পানে চার সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২২

কীটনাশক পানে চার সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

কীটনাশক করে আত্মহত্যা করেছে হ্যাপি বেগম (৫০) নামের এক নারী। চার সন্তানেরর জননী এই নারী সোমবার সকাল সাতটার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রেখেছে।

এর আগে একই দিন খুব ভোরে বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদাপুরা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ ঘরে কীটনাশক পান করেন নারী। তার স্বামী ফারুক চৌকিদার গ্রামপুলিশে কর্মরত রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামপুলিশ ফারুক চৌকিদার সম্প্রতি একই গ্রামের অপর এক নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এনিয়ে তাদের সংসাদে কয়েকদিন ধরে কলহ চলছিল। সেই কলহের জেরে রোববার খুব সকালে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন হ্যাপি বেগম। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে একদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাতটার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।

এই বিষয়ে নারীর স্বামী গ্রামপুলিশ ফারুক চৌকিদারের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলে তার বড় মেয়ে সুমা আক্তার বলেন, মা পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন ঠিকই, কিন্তু বাবার পরকীয়ার কারণে কী না সম্পর্কে জানা নেই।

সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, কীটনাশক পানে নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। নারীর আত্মহত্যার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে স্বামীর পরকীয়া প্রেমের কথা শোনা গেলে এটি সত্য কী না তা তদন্ত ব্যতিত বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন