ঢাকা ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই বছরের শিশুকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করল। বাড়িতে নিয়ে স্বজনদের আহজারির পর দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হর। ঠিক এ সময়ে নড়েচড়ে উটল শিশুটি। আবার হাসপাতালে নেয়া হল শিশুটিকে। কিন্তু শিশুটিকে বাচানো যায়নি। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় এ ঘটনায় শুক্রবার হাসপাতালে স্বজনরা চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ শুরু করে। শুক্রবার সকালের এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছেÑ উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের আহম্মদাবাদ বেতাল গ্রামের রাজমিস্ত্রি মো. সুমনের দুই বছরের শিশু সাইমুন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির উঠানের পাশে পুকুর পাড়ে খেলা করতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়। ওই সময় শিশুটির মা উঠানে ধান সিদ্ধ করছিলেন। তাৎক্ষণিক শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় পুকুর থেকে তুলে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রতদেব পাল শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। তখন সময় সকাল ১০টা ৫ মিনিট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডাক্তার সাইমুনকে মৃত ঘোষণা করার গ্রামে নিয়ে দাফনপ্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু এরই মধ্যে সে নড়েচড়ে ওঠে এবং মুখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ফলে ধারণা মেলে ডাক্তার ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এসময় তাকে স্বজনেরা ফের দ্রুত একই হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবং সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রতদেব পালের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ দেখান। এসময় স্থানীয়রা তাদের সাথে একত্রিত হলে হাসপাতাল চত্ত্বর সরগরম হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়। এবং দ্বিতীয় দফায় শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তবে শেষাবধি শিশুটি বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিয়োগান্তের আগেই মৃত ঘোষণার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. সুব্রতদেব পাল। এই চিকিৎসকের দাবিÑ প্রথম দফায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও স্বজনদের আবদারের প্রেক্ষিতে অক্সিজেন দেওয়া ও ইসিজি করাসহ সবধরণের চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে জীবিত আছে দাবি করে স্বজনেরা ফের শিশুটিকে নিয়ে আসলে আবারও অক্সিজেন দেওয়া ও ইসিজি করা হয়। কিন্তু একই রেজাল্ট এসেছে। পরপরেও স্বজনেরা এই ঘটনায় অবহেলার অভিযোগ এনে শাস্তি দাবি করে হাসপাতাল চত্ত্বরে বিক্ষোভ করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং লাশটি স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়।
বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, প্রাণ যাওয়ার আগে শিশুকে মৃত ঘোষণা করার অভিযোগে স্বজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভ করে এবং চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আইনি আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিলে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় স্বজনদের লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, জানান ওসি।’
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network