মা-বাবাকে মুক্তি দিতে প্রেমিকাকে ফেরত, তারপরও প্রাণ গেল তরুণের

প্রকাশিত: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২২

মা-বাবাকে মুক্তি দিতে প্রেমিকাকে ফেরত, তারপরও প্রাণ গেল তরুণের

বরিশালে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে নিরুদ্দেশ হন তরুণ-তরুণী। পরে প্রেমিকার পরিবারের করা মামলায় নিজের মা-বাবাকে মুক্তি দিতে তাকে ফেরত দেন প্রেমিক। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর টেক্সটাইল মিলের পাশ থেকে ওই প্রেমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরিবারের অভিযোগ, তরুণীকে ফেরত দেওয়ার পরও তার স্বজনরা মো. হৃদয় হোসেনকে (১৯) মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। ওই তরুণ নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের কুদগাঠা এলাকার বাসিন্দা। এলাকায় তার একটি ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান আছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর টেক্সটাইল মিলের পাশে মেলে হৃদয়ের নিথর দেহ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা খোকন হাওলাদার ও মা মারুফা বেগম জানিয়েছেন, কুদঘাটা এলাকার বাসিন্দা অটোচালক জাকির হোসেনের মেয়ের সঙ্গে হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১৬ আগস্ট তারা পালিয়ে একটি কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। ওদিকে জাকির হোসেন অপহরণের অভিযোগ করেন থানায়। অভিযোগ পেয়ে তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশ শর্ত দেয়, হৃদয় যাকে নিয়ে পালিয়েছে তাকে ফেরত দিলে তার মা-বাবাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেই আশ্বাসে ১৯ আগস্ট প্রেমিকাকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়ে তাদেরকে মুক্ত করে হৃদয়, বলেন মা-বাবা।

নিহতের মামা হাবিবুর রহমান বলেন, ‌‘মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়া হলে স্থানীয়ভাবে পুলিশ বিষয়টি মীমাংসা করে। কিন্তু হৃদয়ের কাছে ফিরে আসার চেষ্টায় মেয়ে অসংখ্যবার হৃদয়কে কল দেয়। হৃদয় আমাকে তা দেখিয়েছে। কিন্তু সে মেয়ের কল রিসিভ করত না। এই ঘটনার পরও সেই মেয়ের ভাই, চাচা, বাবা হৃদয়কে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। না হলে মেরে ফেলবে বলেছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, হৃদয়কে ওই মেয়ের ভাই, চাচা, বাবা মিলে পরিকল্পিতভাবে মেরে বালুর মাঠে ফেলে রেখেছে। এই হত্যার বিচার চাই আমরা।’

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন