ঢাকা ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে।
মাইটিভির মুলাদী উপজেলা প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম সংবাদ সংগ্রহে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনার পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমান হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন।
রাকিবুল ইসলাম জানান, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। ৩ বছর ধরে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসক বসেন না। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক মো. সাইমুম মাহমুদ মিশাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই চিকিৎসক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না গিয়ে হাসপাতালে বসে রোগী দেখেন এবং দুপুর থেকেই ব্যক্তিগত চেম্বার করেন।
এছাড়া মো. সাইমুম মাহমুদ মিশাদ হাসপাতালের মধ্যেই রোগীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সেবাবঞ্চিত নাজিরপুর ইউনিয়নবাসীর কাছ থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন রাকিব। পরে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সাইমুম মাহমুদ মিশাদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমানের বক্তব্য এবং তথ্য সংগ্রহে যান তিনি।
রাকিব আরও বলেন, সংবাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য বেলা ১২টার দিকে ক্যামেরাম্যান নিয়ে হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি সাইমুম মাহমুদ মিশাদের বক্তব্য নেন এবং নেইমপ্লেটের ভিডিও ফুটেজ নেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমানের কাছে তথ্য সংগ্রহে গেলে সেখানে সাইমুম মাহমুদ মিশাদ এবং তার সহযোগীরাও হাজির হন। ভিডিও ফুটেজ নেওয়ায় তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সামনেই রাকিব ও ক্যামেরাম্যানকে লাঞ্ছিত করে। ওই সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসপাতালে সংবাদকর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মুলাদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন সুমন বলেন, হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহে বাধা দেওয়া এবং সংবাদকর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয়টি দুঃখজনক। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
হাসপাতালের চিকিৎসক সাইমুম মাহমুদ মিশাদ বলেন, তিনি ছয় মাস ধরে মুলাদী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। নাজিরপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে আগামী জানুয়ারি থেকে সেখানে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা রয়েছে তার।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিববার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমান সাংবাদিক লাঞ্ছিত করা কিংবা হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রাকিবুল ইসলামের আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অনুমতি নিয়ে ভিডিও করতে বলা হয়েছে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network