ঢাকা ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২৩
ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখানে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সাড়ে ছয় বছর বয়সী শিশুকে হামলা ও মারধরের অভিযোগে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ছাত্র মো. শাকিল স্কুলে যাওয়ার পরিবর্তে বাবার সঙ্গে ঘুরছে আদালতে। গ্রেপ্তার এড়াতে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও নিয়েছে। হাজিরা দিতে হচ্ছে নালিশি আদালতে।জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান শাকিলের বাবা মোখলেছুর রহমান। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১১ এপ্রিল দৌলতখান উপজেলার দিদারউল্লা গ্রামের আ. মন্নান বাদী হয়ে একই এলাকার শাকিলকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। অন্য অভিযুক্তরা হলেন– শাকিলের বাবা মোখলেছুর রহমান, চাচা মাহে আলম, দাদা আবদুল খালেক, মা রুনু আকতার ও চাচি নাসিমা বেগম। অভিযোগে শাকিলের বয়স উল্লেখ করা হয় ২০ বছর। কিন্তু জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী তার বয়স ছয় বছর সাত মাস। এজাহারে উল্লেখ করা হয় শাকিলের নেতৃত্বে বাদী ও সাক্ষীদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত এবং নারীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। আদালত ১ থেকে ৪ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর নেওয়ার জন্য দৌলতখান থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ১৫ এপ্রিল দৌলতখান থানায় মামলা হয়। ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন শাকিলসহ আসামিরা। গত মঙ্গলবার মোখলেছুর রহমানের কোলে চড়ে ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসে শাকিল। সঙ্গে আসেন শাকিলের মা রুনু আকতারও। মামলার হয়রানি থেকে মুক্ত হতে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে আদালতে আসেন তারা। এ সময় মোখলেছুর রহমান জানান, বাদী আবদুল মন্নানের সঙ্গে তাদের প্রায় দুই একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তার জমি আত্মসাৎ করার জন্য প্রতিপক্ষ মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করছে। জালিয়াতির মাধ্যমে জমির ভুয়া কাজপত্র তৈরি করেছে। অভিযুক্ত শাকিল হামলা বা মারামারি করেনি বলে স্বীকার করেন বাদী আবদুল মন্নানও। তিনি জানান, ভুলবশত এজাহারে শিশুর নাম এসেছে। শাকিলের বড় ভাইয়ের নামের পরিবর্তে তার নাম লেখা হয়েছে। মামলার ৬ নম্বর সাক্ষী ও বাদীর ভাই রুহুল আমিন জানান, তাদের বিরুদ্ধে শাকিলের বাবা একটি মামলা করেছিলেন। সেটির জবাবে এই মামলা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, আদালতের আদেশে থানায় মামলাটি হয়েছে। মামলার তদন্তকাজ অনেকটাই শেষ। সরেজমিন যাচাই করে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করবে। শিশুটি যেন আইনি সুযোগ-সুবিধা পায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
প্রকাশকঃ ডাক্তার এস এম জাকির হোসেন।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network