ঢাকা ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২৩
ছোটবেলা থেকে কথা বলতে পারে না জয়িতা রানী বণিক (১৬)। তবে ছবি আঁকা ও লেখাপড়ায় বরাবরই ভালো। সেই ভালোর ‘স্বীকৃতি’ মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। এবারের ঈদুল আজহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ শুভেচ্ছা কার্ডে স্থান করে নেয় ঝালকাঠির মেয়ে জয়িতার ছবি। এ ছবির জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে এক লাখ টাকার অনুদান পেয়েছে সে।
জয়িতা রানী বণিক ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দিবা শাখার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ঝালকাঠি পৌর শহরের কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুভাষ চন্দ্র বণিক ও জয়া রানী বণিকের বড় মেয়ে। তাঁর এই কৃতিত্বে মা-বাবাসহ বিদ্যালয়ের সহপাঠীরা দারুণ খুশি।
জয়িতা রানী বণিক ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দিবা শাখার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর ঈদুল আজহার আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঈদের শুভেচ্ছা কার্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছবি চাওয়া হয়। সেখানে জয়িতা রানী বণিকসহ প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ছবি পাঠায়। এ ছাড়া সারা দেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা ছবি পাঠায়। সেখানে জয়িতা রানীর আঁকা ছবিটি প্রধানমন্ত্রীর ঈদ কার্ডের জন্য নির্বাচিত হয়।
জয়িতার আঁকা ছবির চিত্রে ফুটে উঠেছে, একটি মসজিদের সামনে দুজন মুসল্লির ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করার দৃশ্য, মোনাজাত করা অবস্থায় এক জোড়া হাত ও কোরবানি করার জন্য এক ব্যক্তির গরু নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। মসজিদের পেছনে রয়েছে ঈদের চাঁদের ছবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঈদ কার্ডের মাধ্যমে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা কার্ডে জয়িতার ছবিটি ছিল চমৎকার। মেয়েটির ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কল্যাণ তহবিল থেকে এক লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
জয়িতার বাবা সুভাষ চন্দ্র বণিক বলেন, ‘আমার মেয়েটি ঝালকাঠির প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী তাপস কর্মকারের কাছে ছবি আঁকা শিখেছে। ছোটবেলা থেকে সে কথা বলতে না পারলেও ছবি আঁকা ও লেখাপড়ায় বরাবরই ভালো। কথা বলার জন্য তাকে নিয়ে ভারতে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু সে আর কথা বলতে পারেনি। কানেও একদম কম শোনে। তবে ইশারায় সবকিছু বুঝতে পারে।’ ইশারায় জয়িতা জানাল, এই স্বীকৃতিতে সে খুব খুশি।
ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দিবা শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক তৌহিদ হোসেন খান বলেন, জয়িতা কথা বলতে না পারলেও লেখাপড়ায় তাঁর মনোযোগ ভালো। ছবি আঁকায় অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে থাকে সব সময়।
চিত্রশিল্পী তাপস কর্মকার বলেন, ‘জয়িতা অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা কার্ডে জয়িতার ছবি স্থান পাওয়ায় আমি গর্বিত।’
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network