তারেক রহমানের ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানের ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৩

তারেক রহমানের ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানের ৩ বছর কারাদণ্ড

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর ও ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। দুদকের আইনজীবীর মতে, এ মামলায় সাজা হওয়ার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে দুদক। যে কারণে তাদেরকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন।
তবে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের দাবি, এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে নজিরবিহীন দ্রুততম সময়ে। রাতের অন্ধকারে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এমনকি এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন তাদের আইনজীবীরা যাতে এজলাসে থাকতে না পারে পিপি’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে বের করে দিয়েছে। আজ আদালত ফরমায়েশি রায় দিয়েছে।
তবে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের অভিযোগ অসত্য বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু। তিনি মানবজমিনকে বলেন, যথাযথ বিধিবিধান অনুসরণ করেই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দিয়েছে আদালত।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা ইউনিটের সভাপতি ও তারেক-জুবাইদার পক্ষে আইনি লড়াই করতে আবেদন জমা দেয়া আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার মানবজমিনকে বলেন, এ মামলায় মোট ৫৭ জন সাক্ষী ছিল। মাত্র ১৬ কার্য দিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। যা আদালত অঙ্গনে নজিরবিহীন।
দ্রুত এই মামলা শেষ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ ছিল। দুইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে রাত ৭টা পর্যন্ত। কোর্ট অফিসার হিসেবে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের থাকার আইনগত অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই মামলায় আমাদের আইনজীবীদের পিপি’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে বের করে দিয়েছে। আজ আবার আদালত ফরমায়েশি রায় দিলেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে মামলাটি তদন্ত করেছে। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ১৮টা এক্সিবিটের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা তার অবৈধ উপার্জন এবং ৫৮ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। এ পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, আমরা ৪২ জন সাক্ষী দিয়েছি। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আমরা এই অপরাধটা প্রমাণ করতে পেরেছি।
২০০৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। চলতি বছরের গত ১৩ই এপ্রিল তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

সংবাদটি শেয়ার করুন