বরিশালে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা!

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪

বরিশালে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা!

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বরিশালের বিভিন্ন নদীতে অবাধে চলছে জাটকা নিধন। ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়া জাটকায় সয়লাব বরিশালের হাটবাজার থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা।

গত ১ নভেম্বর থেকে জাটকা (১০ ইঞ্চির কম আকারের ইলিশ) ধরায় আট মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য অধিদফতর। যা চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই দেদারসে চলছে জাটকা নিধন ও বিক্রি। তবে জনবল সংকটের কারণে জাটকা শিকার ও বিক্রি বন্ধে জোরদার অভিযান পরিচালনা ব্যহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন মৎস্য অফিস।

বরিশাল মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, গত আড়াই মাসে জেলায় প্রায় ২০ টন জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা জব্দ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টন। তবে মাঠপর্যায়ের তথ্যমতে, গত নভেম্বরে নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে শত শত টন জাটকাসহ বিভিন্ন মাছের পোনা নিধন হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় প্রতিদিন সকালে ভ্যানে করে জাটকা নিয়ে আসেন মাছ বিক্রেতা। ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় প্রতি কেজিতে জাটকা মিলছে ৮/১০টি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক বিক্রেতা জানান, শহরতলীর তালতলী, নগরীর পোর্ট রোড বাজার, চৌমাথা বাজার, বাংলাবাজার, নতুন বাজার, কাশিপুর বাজার, বটতলা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা।

নগরীর চৌমাথা বাজারের মাছ বিক্রেতা বেলাল জানান, নদী থেকে জেলেরা জাটকা জেলেরা ধরে আড়তে বিক্রি করছেন। এরপরই পাইকারি বাজার হয়ে খুচরা বাজারে আনা হচ্ছে। নদীতে মাছ ধরা বা শিকার থেকে জেলেদের যদি বিরত রাখা যেত, তাহলে এই সম্পদ ধ্বংস হতো না।

জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, জাটকা রক্ষায় নভেম্বর থেকে অভিযান চলছে। এর মধ্যে ১১ জানুয়ারি থেকে সম্মিলিত অভিযান শুরু হয়েছে। তবে স্বল্প জনবলের কারণে জেলেদের ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বরিশালের আশপাশের এলাকায় জাটকা শিকারের হার বেশি।

তিনি আরও বলেন, বরিশালের মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাটকা শিকার নিরুৎসাহিত করতে জেলেদের বিভিন্ন সহায়তা ও সচেতনামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে জনগণ সচেতন না হলে জাটকা নিধন বন্ধ করা সম্ভব নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন