ঢাকা ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২০
সাগরে নিম্ন চাপের প্রভাব এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা এলাকায় মেঘনা নদীর বাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত জোয়ারের কারণে ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় আরও অন্তত ২০ গ্রাম জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।
এতে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে ক্ষেতের ফসল, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। প্লাবিত এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আজ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক দুর্গতদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে বৃহস্পতিবার ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের মুরাদছবুল্লাহ এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। স্থানীয় লোকজন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষনিক চেষ্টা করলেও তীব্র স্রোতের কারণে বাঁধ মেরামত করতে ব্যর্থ হয়।
এ কারণে গত দুই দিনে বাগার হাওলা, গুপ্তমুন্সি, রামদাসপুর, কালাপুরসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ জোয়ার ভাটার পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জোয়ারের সময় কোন কোন ঘরে এক বুক পানি হয়। এতে ওই এলাকার প্রায় ৪ হাজার পরিবারের রান্না বন্ধ রয়েছে। খেয়ে না খেয়ে তার চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ ওই এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এদিকে ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগে বালি ভরে পাইলিং করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শুক্রবার রাতে জোয়ারে চাপে তা ভাসিয়ে নেয়। ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ দ্রুত সংস্কার সম্ভব না হওয়ায় তা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, পানির চাপ কমলে দুই এক দিনের মধ্যে অনুকূল পরিবেশ পাওয়া গেলে বাঁধ সংস্কার করা হবে।
আজ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক ইলিশার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পর্যাপ্ত চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অপর দিকে দ্রুত বাঁধ সংস্কার করা হবে এবং এই বাধ যেন আর না ভাঙে সে জন্য স্থায়ী সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, বৈশ্বিক আবহাওয়ার কারণেই পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। এ জন্য জেলার সকল বাঁধ আরও এক মিটার উঁচু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network